ঢাকা ০৩:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে একই দিনে মা-ছেলের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

মা আঙ্গুরা বেগম- ছেলে সাহেদুল ইসলাম ভিম-

 

সন্তানের ১ ঘন্টা আগে যেন আমার মৃত্যু হয়। মা আঙ্গুরা বেগমের এমন আকুতি যেন সত্যি হল। ছেলে সাহেদুল ইসলাম ভিম (৬১) মায়ের মৃত্যুর ৩ ঘন্টা পরে মারা গেছেন। সোমবার (২ নভেম্বর) ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার এ ঘটনা ঘটে। একই দিনে পরিবারে দু’জন সদস্য মারা যাওয়ার ঘটনায় মাতম করছেন স্বজনেরা।

এলাকার লোকজন বলেন, সুন্দরপুর দূর্গাপুর ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের সানার উদ্দিন মন্ডলের ছেলে শাহেদুল ইসলাম(ভিম)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নার্ভের টিউমার রোগে ভুগছিলেন। মা আঙ্গুরা বেগম (৮৭) বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি ছোট মেয়ে খুকুর বাড়ি ঝিনাইদহে ছিলেন। ছানার উদ্দিন মন্ডলের ৪ ছেলে ২ মেয়ে।
পরিবারের লোকজন বলেন, সোমবার রাত দেড়টার দিকে আঙ্গুরা বেগম মৃত্যু বরন করলে মেয়ে খুকু মায়ের মৃত্যুর খবরটি পরিবারকে জানাই। সাহেদুল ইসলাম ভিম মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি জানতেন না,তার চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে এবং অস্থিরতা দেখা যায়। রাত ৪ টার দিকে তিনিও মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন।

একই দিন মা ও ছেলের মৃত্যুর ঘটনার বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক। এ ঘটনায় পুরো গ্রামবাসী বাকরুদ্ধ। সোমবার যহরবাদ ভাটপাড়াস্থ পারিবারিক গোরস্থানে ছেলেকে ও কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন নিশ্চিন্তপুরের স্বামীর পাশে মাকে দাফন করা হয়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:০৯:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
১২ Time View

কালীগঞ্জে একই দিনে মা-ছেলের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৬:০৯:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

 

সন্তানের ১ ঘন্টা আগে যেন আমার মৃত্যু হয়। মা আঙ্গুরা বেগমের এমন আকুতি যেন সত্যি হল। ছেলে সাহেদুল ইসলাম ভিম (৬১) মায়ের মৃত্যুর ৩ ঘন্টা পরে মারা গেছেন। সোমবার (২ নভেম্বর) ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার এ ঘটনা ঘটে। একই দিনে পরিবারে দু’জন সদস্য মারা যাওয়ার ঘটনায় মাতম করছেন স্বজনেরা।

এলাকার লোকজন বলেন, সুন্দরপুর দূর্গাপুর ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের সানার উদ্দিন মন্ডলের ছেলে শাহেদুল ইসলাম(ভিম)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নার্ভের টিউমার রোগে ভুগছিলেন। মা আঙ্গুরা বেগম (৮৭) বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি ছোট মেয়ে খুকুর বাড়ি ঝিনাইদহে ছিলেন। ছানার উদ্দিন মন্ডলের ৪ ছেলে ২ মেয়ে।
পরিবারের লোকজন বলেন, সোমবার রাত দেড়টার দিকে আঙ্গুরা বেগম মৃত্যু বরন করলে মেয়ে খুকু মায়ের মৃত্যুর খবরটি পরিবারকে জানাই। সাহেদুল ইসলাম ভিম মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি জানতেন না,তার চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে এবং অস্থিরতা দেখা যায়। রাত ৪ টার দিকে তিনিও মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন।

একই দিন মা ও ছেলের মৃত্যুর ঘটনার বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক। এ ঘটনায় পুরো গ্রামবাসী বাকরুদ্ধ। সোমবার যহরবাদ ভাটপাড়াস্থ পারিবারিক গোরস্থানে ছেলেকে ও কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন নিশ্চিন্তপুরের স্বামীর পাশে মাকে দাফন করা হয়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ