ঢাকা ০৭:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সীমান্তে যে কোনো অপতৎপরতা রোধে সম্পূর্ণ প্রস্তুত : বিজিবি

সবুজদেশ ডেস্ক:

ছবি সংগৃহীত-

 

সীমান্তে যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি কিংবা অপতৎপরতা রোধে সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুরে এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানায় বিজিবি সদর দপ্তর।

এতে বলা হয়, সীমান্তে যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি কিংবা অপতৎপরতা রোধে বিজিবি সম্পূর্ণ প্রস্তুত ও সতর্ক রয়েছে।

এদিকে, ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা থেকে আখাউড়ামুখী লংমার্চ কর্মসূচিকে ঘিরে সীমান্তে উত্তেজনা থাকায় আখাউড়া সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় কুঞ্জবন এলাকায় গতকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন অফিসে হামলার পর সেখানকার বিজিবি নেতৃত্বাধীন দলীয় নেতাকর্মীরা আগরতলা থেকে আখাউড়া স্থলবন্দরমুখী লংমার্চ কর্মসূচি দিয়েছে আজ মঙ্গলবার।

বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এ কর্মসূচিকে ঘিরে সীমান্তে যে কোনো ধরনের উত্তেজনা রোধ করার লক্ষ্যে বিজেপির পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় সাধারণ মানুষের গতিবিধি কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।

এর আগে সোমবার আগরতলার ত্রিপুরায় অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা টেনেহিঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলা হয়।

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুকে অবৈধভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ভারতের ডানপন্থি সংস্থা ‘হিন্দু সংগ্রাম স্মৃতি’ এ হামলা চালায়।

ভারতের আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সোমবার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভটি সার্কিট হাউসের মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্যের সামনে পৌঁছলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে তারা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনারের অফিসে প্রবেশ করে এবং ভাঙচুর চালায়।

ঘটনার পরই পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পশ্চিম ত্রিপুরার এসপি ড. কিরান কুমা এবং ডিজিপি অনুরাগ ধানকার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিক্ষোভ চলাকালে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশি সহকারী হাইকমিশনারের কাছে একটি স্মারকলিপি পৌঁছে দেয়। এ সময় একজন বিক্ষোভকারী বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। তাকে খাবার পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অগ্রহণযোগ্য।

সবুজদেশ/এসইউ

About Author Information
আপডেট সময় : ০৪:৪৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
৯ Time View

সীমান্তে যে কোনো অপতৎপরতা রোধে সম্পূর্ণ প্রস্তুত : বিজিবি

আপডেট সময় : ০৪:৪৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

 

সীমান্তে যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি কিংবা অপতৎপরতা রোধে সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুরে এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানায় বিজিবি সদর দপ্তর।

এতে বলা হয়, সীমান্তে যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি কিংবা অপতৎপরতা রোধে বিজিবি সম্পূর্ণ প্রস্তুত ও সতর্ক রয়েছে।

এদিকে, ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা থেকে আখাউড়ামুখী লংমার্চ কর্মসূচিকে ঘিরে সীমান্তে উত্তেজনা থাকায় আখাউড়া সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় কুঞ্জবন এলাকায় গতকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন অফিসে হামলার পর সেখানকার বিজিবি নেতৃত্বাধীন দলীয় নেতাকর্মীরা আগরতলা থেকে আখাউড়া স্থলবন্দরমুখী লংমার্চ কর্মসূচি দিয়েছে আজ মঙ্গলবার।

বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এ কর্মসূচিকে ঘিরে সীমান্তে যে কোনো ধরনের উত্তেজনা রোধ করার লক্ষ্যে বিজেপির পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় সাধারণ মানুষের গতিবিধি কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।

এর আগে সোমবার আগরতলার ত্রিপুরায় অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা টেনেহিঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলা হয়।

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুকে অবৈধভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ভারতের ডানপন্থি সংস্থা ‘হিন্দু সংগ্রাম স্মৃতি’ এ হামলা চালায়।

ভারতের আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সোমবার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভটি সার্কিট হাউসের মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্যের সামনে পৌঁছলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে তারা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনারের অফিসে প্রবেশ করে এবং ভাঙচুর চালায়।

ঘটনার পরই পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পশ্চিম ত্রিপুরার এসপি ড. কিরান কুমা এবং ডিজিপি অনুরাগ ধানকার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিক্ষোভ চলাকালে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশি সহকারী হাইকমিশনারের কাছে একটি স্মারকলিপি পৌঁছে দেয়। এ সময় একজন বিক্ষোভকারী বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। তাকে খাবার পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অগ্রহণযোগ্য।

সবুজদেশ/এসইউ