সাবেক এমপি টগরসহ ২২ জনের নামে মামলা
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলী আজগার টগরসহ ২২ জনের নামে একটি মামলা করা হয়েছে।
মামলার বাদী বিএনপি নেতা শাহাবুদ্দিন শুক্রবার সকালে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা আমলি আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক এমপি টগরের ভাই দামুড়হুদা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী মুনছুর বাবু, এ উপজেলা আওয়ামী লীগের যগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এসএম জাকারিয়া আলম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান ছোট, সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান ও দর্শনা পৌর যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল আলম বাবু, সাধারণ সম্পাদক শেখ আসলাম আলী তোতা, দর্শনা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ পারভেজসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২২ জন নেতাকর্মী।
মামলার বাদী দর্শনার কেরু হাসপাতালপাড়ার মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে শাহাবুদ্দীন। বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা আমলী আদালতে দর্শনায় মামলাটি করা হয়।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তৎকালীন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলী আজগার টগরের নেতৃত্বে ২২ জন আসামি দর্শনা কেরুর কুলি লাইন এলাকায় মিজানুর রহমানের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
বাদী শাহাবুদ্দীনকে হত্যার উদ্দেশে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। এছাড়া পিস্তল ঠেকিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে আসামিরা। ওই বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।
তাদের তাণ্ডবে আনুমানিক ৩ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, লুট করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা। একপর্যায়ে লোকজনের ডাক-চিৎকারে তারা বীরদর্পে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বোমা বিস্ফোরণ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
বাদী উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য হওয়ায় সেই সময় থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ করেনি। এছাড়া দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় একাধিকবার মামলা করতে গেলেও তা গ্রহণ করা হয়নি।
মামলার বাদী বিএনপি নেতা শাহাবুদ্দিন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি ন্যায়বিচারের বিবেচনায় মামলাটি আদালতে করা হয়েছে।