ঢাকা ০৯:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ চিনিকল-

বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের যাওয়ার কথা শুনে পালালেন এমডি

বিশেষ প্রতিনিধি

 

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ সুগার মিলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের যাওয়ার কথা শুনে পালিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল আলম। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররা চিনিকলটির অফিস কক্ষে যায়। এ সময় অফিসে উপস্থিত ছিলেন না ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল আলম।

জানা গেছে, ১৯৬৫ সালে স্থাপিত দক্ষিণবঙ্গের একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান মোবারকগঞ্জ চিনিকল। অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে প্রতিষ্ঠার পর থেকে লোকসানের বোঝা নিয়েই চলছে চিনিকলটি। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে অবৈধ নিয়োগের ১৩৭ জন শ্রমিকের কাজে নেওয়া ও ২৪ জন কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে পদোন্নতি নামে টাকা আত্মসাতের খবর প্রকাশিত হলে সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে চিনিকলের অফিসে যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সেখানে ছাত্ররা যাওয়ার আগেই চিনিকলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অফিস থেকে বেরিয়ে যান। এরপর চিনিকলটির অর্থ বিভাগের ব্যবস্থাপক হিরন্ময় বিশ্বাসের সাথে কথা বলে শিক্ষার্থীরা। এরপর মুঠোফোনে ছাত্ররা ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অফিসে আসার অনুরোধ জানালে তিনি আসতে অস্বীকৃতি জানান। প্রায় ১ ঘন্টা অফিসে অবস্থান করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা।

ঝিনাইদহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহবায়ক হুসাইন আহমেদ জানান, দক্ষিণবঙ্গের একটি বড় প্রতিষ্ঠান আমাদের এই সুগার মিল। বছরের পর বছর এই চিনিকলে শুধু লোকসানই দেখানো হয়। একটা অবৈধ নিয়োগ নিয়ে চিনিকলে পক্ষে-বিপক্ষে দ্বন্দ্ব চলছে। ৫ আগস্টের পর সারাদেশে সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে। কিন্তু এই চিনিকলে সংস্কারের কোন ছোঁয়াই লাগেনি। মিলের এমডি আগেও যেভাবে কাজ করেছেন এখনও সেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কোন কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না। সুগার মিলের এমডি এবং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রসুল এই মিলটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন।

তিনি আরো বলেন, মিলটি যাতে ভালোভাবে চলে এসব বিষয়ে কথা বলতে এমডির সাথে কথা বলতে আমরা তার অফিসে আসি। কিন্তু আমাদের আসার খবর পেয়ে এমডি পালায়। সে আশেপাশেই আছে কিন্তু এখানে আসছে না। ফোনেও কথা বলেছি কিন্তু এখানে আসতে কোনভাবেই রাজি না।

এ ব্যাপারে মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল আলম জানান, একটা মিটিংয়ে ছিলাম। এজন্য তাদের সাথে দেখা করতে পারেনি।

সবুজদেশ/এসএএস

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:৩৫:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
৭৩ Time View

ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ চিনিকল-

বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের যাওয়ার কথা শুনে পালালেন এমডি

আপডেট সময় : ০৬:৩৫:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

 

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ সুগার মিলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের যাওয়ার কথা শুনে পালিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল আলম। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররা চিনিকলটির অফিস কক্ষে যায়। এ সময় অফিসে উপস্থিত ছিলেন না ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল আলম।

জানা গেছে, ১৯৬৫ সালে স্থাপিত দক্ষিণবঙ্গের একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান মোবারকগঞ্জ চিনিকল। অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে প্রতিষ্ঠার পর থেকে লোকসানের বোঝা নিয়েই চলছে চিনিকলটি। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে অবৈধ নিয়োগের ১৩৭ জন শ্রমিকের কাজে নেওয়া ও ২৪ জন কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে পদোন্নতি নামে টাকা আত্মসাতের খবর প্রকাশিত হলে সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে চিনিকলের অফিসে যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সেখানে ছাত্ররা যাওয়ার আগেই চিনিকলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অফিস থেকে বেরিয়ে যান। এরপর চিনিকলটির অর্থ বিভাগের ব্যবস্থাপক হিরন্ময় বিশ্বাসের সাথে কথা বলে শিক্ষার্থীরা। এরপর মুঠোফোনে ছাত্ররা ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অফিসে আসার অনুরোধ জানালে তিনি আসতে অস্বীকৃতি জানান। প্রায় ১ ঘন্টা অফিসে অবস্থান করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা।

ঝিনাইদহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহবায়ক হুসাইন আহমেদ জানান, দক্ষিণবঙ্গের একটি বড় প্রতিষ্ঠান আমাদের এই সুগার মিল। বছরের পর বছর এই চিনিকলে শুধু লোকসানই দেখানো হয়। একটা অবৈধ নিয়োগ নিয়ে চিনিকলে পক্ষে-বিপক্ষে দ্বন্দ্ব চলছে। ৫ আগস্টের পর সারাদেশে সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে। কিন্তু এই চিনিকলে সংস্কারের কোন ছোঁয়াই লাগেনি। মিলের এমডি আগেও যেভাবে কাজ করেছেন এখনও সেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কোন কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না। সুগার মিলের এমডি এবং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রসুল এই মিলটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন।

তিনি আরো বলেন, মিলটি যাতে ভালোভাবে চলে এসব বিষয়ে কথা বলতে এমডির সাথে কথা বলতে আমরা তার অফিসে আসি। কিন্তু আমাদের আসার খবর পেয়ে এমডি পালায়। সে আশেপাশেই আছে কিন্তু এখানে আসছে না। ফোনেও কথা বলেছি কিন্তু এখানে আসতে কোনভাবেই রাজি না।

এ ব্যাপারে মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল আলম জানান, একটা মিটিংয়ে ছিলাম। এজন্য তাদের সাথে দেখা করতে পারেনি।

সবুজদেশ/এসএএস