ঢাকা ১২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদের উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি প্রতিনিধি-

 

কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি, শ্রমিক সংকট নিরসন, সময় অপচয়রোধ ও অতিরিক্ত খরচ রোধে ঝিনাইদহে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার গাগান্না গ্রামের মাঠে রাইসপ্লান্টারের মাধ্যমে জমিতে ধানের চারা রোপন করে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

এ উপলক্ষে আয়োজিত কৃষক সমাবেশে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্টী চন্দ্র রায়, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর-এ নবী, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা জুনাইদ হাবীব, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মীর রাকিবুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন হলিধানী ইউনিয়ন উপ-সহকারী কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন, স্থানীয় কৃষক মতিয়ার রহমান প্রমুখ।

আয়োজকরা জানায়, সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনার আওতায় গাগান্না গ্রামের ১১৫ জন কৃষকের ১৫০ বিঘা জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হবে। এই পদ্ধতিতে বীজতলা ও ধানের চারা রোপণে ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি। ফলে কৃষিতে খুলছে এক নতুন দুয়ার।

আয়োজকরা আরও জানান, প্রচলিত রীতিতে বীজতলা তৈরি না করে জমি ও সময় অপচয়রোধে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের যুগোপযোগী পদ্ধতি হচ্ছে ‘সমলয়’ চাষ। স্বল্প জমিতে প্লাস্টিকের ফ্রেম বা ট্রে-তে লাগানো যায় ধানের বীজ। ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে চারা হয়। রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করলে সময় কম লাগবে।’ এতে উৎপাদন খরচ ও শ্রমিক সংকট দূর হবে। কৃষকরা আরও বেশী লাভবান হবেন।

সবুজদেশ/এসইউ

About Author Information
আপডেট সময় : ০১:৪৩:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
৮ Time View

ঝিনাইদহে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদের উদ্বোধন

আপডেট সময় : ০১:৪৩:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

 

কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি, শ্রমিক সংকট নিরসন, সময় অপচয়রোধ ও অতিরিক্ত খরচ রোধে ঝিনাইদহে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার গাগান্না গ্রামের মাঠে রাইসপ্লান্টারের মাধ্যমে জমিতে ধানের চারা রোপন করে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

এ উপলক্ষে আয়োজিত কৃষক সমাবেশে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্টী চন্দ্র রায়, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর-এ নবী, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা জুনাইদ হাবীব, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মীর রাকিবুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন হলিধানী ইউনিয়ন উপ-সহকারী কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন, স্থানীয় কৃষক মতিয়ার রহমান প্রমুখ।

আয়োজকরা জানায়, সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনার আওতায় গাগান্না গ্রামের ১১৫ জন কৃষকের ১৫০ বিঘা জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হবে। এই পদ্ধতিতে বীজতলা ও ধানের চারা রোপণে ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি। ফলে কৃষিতে খুলছে এক নতুন দুয়ার।

আয়োজকরা আরও জানান, প্রচলিত রীতিতে বীজতলা তৈরি না করে জমি ও সময় অপচয়রোধে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের যুগোপযোগী পদ্ধতি হচ্ছে ‘সমলয়’ চাষ। স্বল্প জমিতে প্লাস্টিকের ফ্রেম বা ট্রে-তে লাগানো যায় ধানের বীজ। ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে চারা হয়। রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করলে সময় কম লাগবে।’ এতে উৎপাদন খরচ ও শ্রমিক সংকট দূর হবে। কৃষকরা আরও বেশী লাভবান হবেন।

সবুজদেশ/এসইউ