ঢাকা ০৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ব্যতিক্রমী বিয়ে: বর গেল হাতিতে, কনে এলো পালকিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

হাতে তরবারি। বর যাচ্ছে হাতির পিঠে চড়ে। এখানেই শেষ নয়। হাতির পেছনে যাচ্ছে ঘোড়ার গাড়ি বা টমটম। তার পেছনে বৌ আনা পালকি। তার পিছনে ব্যান্ড পার্টি সাথে শতশত বরযাত্রী। এমনই এক ব্যতিক্রমী এবং বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া হারানো ঐতিহ্যকে সামনে নিয়ে এসেছে নিশান-জেবার বিয়ে।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এমন ব্যতিক্রমী বিয়ে দেখা গেছে ঝিনাইদহের শৈলকূপা সারুটিয়া ইউনিয়নের নব গ্রামে।

বরের বাবা ফারুক বিশ্বাস বলেন, আমার বাবার খুব ইচ্ছে ছিল তার পুতা ছেলে এইভাবে রাজার বেশে বিয়ে করতে যাবে। তাই এ ধরনের আয়োজন।

ছেলের মা রিক্তা খাতুন বলেন, হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে এনে বিয়ে। তার পরিবার আয়োজন করে তেমনই এক বিয়ে। এ উপলক্ষে এক সপ্তাহ ধরে চলছিল প্রস্তুতি। হাতি ভাড়া করা হয় সিরাজগঞ্জ থেকে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে। সব আত্মীয়-স্বজন ও প্রিয়জনদের দাওয়াত করে হৈ-হুল্লোড় এবং ভুরিভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল এ আয়োজনে। কনের জন্য পালকি, বর যাত্রীরা টমটম গাড়িতে আর পায়ে হেটে সাথে ছিলো ব্যান্ড পার্টিও।

গ্রামবাসী মকুবল হোসেন জানান, এ ধরনের আয়োজন সত্যিই ব্যতিক্রম।

কনে জেবা খাতুন জানান, ভালো লাগছে। আলাদা করে ভাবতে কে না চায় ।

কন্যার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার দেনমোহরে বিয়ে হয় দু’জনের ।

নিশান হোসেন জানান, দাদার স্বপ্ন ছিল। তা পূরণের চেষ্টা করা হয়েছে। সত্যি বলতে আমারও খুব ভালো লাগছে।

সবুজদেশ/এসএএস

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:০০:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
৩২ Time View

ঝিনাইদহে ব্যতিক্রমী বিয়ে: বর গেল হাতিতে, কনে এলো পালকিতে

আপডেট সময় : ০৮:০০:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

 

হাতে তরবারি। বর যাচ্ছে হাতির পিঠে চড়ে। এখানেই শেষ নয়। হাতির পেছনে যাচ্ছে ঘোড়ার গাড়ি বা টমটম। তার পেছনে বৌ আনা পালকি। তার পিছনে ব্যান্ড পার্টি সাথে শতশত বরযাত্রী। এমনই এক ব্যতিক্রমী এবং বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া হারানো ঐতিহ্যকে সামনে নিয়ে এসেছে নিশান-জেবার বিয়ে।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এমন ব্যতিক্রমী বিয়ে দেখা গেছে ঝিনাইদহের শৈলকূপা সারুটিয়া ইউনিয়নের নব গ্রামে।

বরের বাবা ফারুক বিশ্বাস বলেন, আমার বাবার খুব ইচ্ছে ছিল তার পুতা ছেলে এইভাবে রাজার বেশে বিয়ে করতে যাবে। তাই এ ধরনের আয়োজন।

ছেলের মা রিক্তা খাতুন বলেন, হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে এনে বিয়ে। তার পরিবার আয়োজন করে তেমনই এক বিয়ে। এ উপলক্ষে এক সপ্তাহ ধরে চলছিল প্রস্তুতি। হাতি ভাড়া করা হয় সিরাজগঞ্জ থেকে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে। সব আত্মীয়-স্বজন ও প্রিয়জনদের দাওয়াত করে হৈ-হুল্লোড় এবং ভুরিভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল এ আয়োজনে। কনের জন্য পালকি, বর যাত্রীরা টমটম গাড়িতে আর পায়ে হেটে সাথে ছিলো ব্যান্ড পার্টিও।

গ্রামবাসী মকুবল হোসেন জানান, এ ধরনের আয়োজন সত্যিই ব্যতিক্রম।

কনে জেবা খাতুন জানান, ভালো লাগছে। আলাদা করে ভাবতে কে না চায় ।

কন্যার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার দেনমোহরে বিয়ে হয় দু’জনের ।

নিশান হোসেন জানান, দাদার স্বপ্ন ছিল। তা পূরণের চেষ্টা করা হয়েছে। সত্যি বলতে আমারও খুব ভালো লাগছে।

সবুজদেশ/এসএএস