কালীগঞ্জে ব্যতিক্রমী পাওয়ার টিলার দৌঁড় প্রতিযোগিতা
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের রায়গ্রাম ইউনিয়নের একতার মাঠে ব্যতিক্রমী পাওয়ার টিলার দৌঁড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। একতারপুর যুব সংঘের আয়োজনে ওই গ্রামের বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। দুর- দুরান্ত থেকে আসা ৪০ টি দল এ খেলায় অংশ নেয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় শুরু হয়ে দিনভর চলে এ প্রতিযোগিতা।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, একতারপুর বাজার সংলগ্ন মাঠে প্রতিযোগীতার স্থলে আগে থেকেই কাঁদা তৈরী করা হয়েছে। এর মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে ব্যতিক্রমী এ খেলা। যা দেখার জন্য সকাল থেকে ফাঁকা মাঠের হাড় কাঁপুনী শীত উপেক্ষা করে নারী- পুরুষ, শিশু, কিশোরসহ সব বয়সী অসংখ্য মানুষ ভীড় জমিয়েছেন। খেলা উপলক্ষে মাঠের চারপাশে শিশুদের খেলনা সামগ্রী, খাবারসহ বিভিন্ন ধরনের স্টল বসানো হয়েছে। খেলা ঘিরে এলাকাটিতে রয়েছে উৎসবের আমেজ। ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে আশপাশের গ্রাম ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে আসা অসংখ্য মানুষের উপস্থিতিও রয়েছে।
অন্যপাশে গেলে দেখা যায়, পাশের শুকনা জমিতে রাখা রয়েছে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া পাওয়ার টিলারগুলো। প্রতিযোগীতার ফাঁকে গাড়িগুলো ঠিকঠাক আছে কিনা তা দেখে নিচ্ছেন প্রতিযোগিরা। আর গতি বাড়াতে চাকায় আগে থেকে লেগে থাকা কাঁদাগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে। আবার প্রচন্ড গতির ট্রিলারের নিচে যেন কেউ না পড়ে সে কারনে স্বেচ্ছাসেবকরা চারপাশে কড়া নিয়ন্ত্রনে রাখছেন।
প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে আসা হরিনাকুন্ডু উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের লালন মিয়া জানান, তিনিসহ তাদের উপজেলা থেকে মোট ৪ টি দল এ প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে এসেছেন। তিনি বলেন, সারাদিন কাঁদাপানি মেখে মাঠের মধ্যে বয়ে যাওয়া হিমেল বাতাসে তাদের খুব কষ্ট হয়েছে। তারপরও খেলা দেখতে আসা মাঠভরা দর্শক তাদেরকে ব্যাপক উৎসাহ দেওয়ায় কষ্ট মনে হয়নি।
আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য রাজন হোসেন জানান, এখন অধিকাংশ জমি ত্রি-ফসলিতে পরিণত হওয়ায় মাঠ ফাঁকা পাওয়া যায় না। এখন গ্রামের মানুষের তেমন একটা কাজ নেই। এ সুযোগে এলাকার মানুষের ব্যতিক্রমী খেলার মাধ্যমে বিনোদন দিতে এ আয়োজন করেছেন।
এ প্রতিযোগিতায় মোট ৪০ টি দল অংশ গ্রহন করে। সকাল ১০ টায় খেলা শুরু হয়। চলে সারাদিন। দিনশেষে হরিনাকুন্ডু উপজেলার আবির হোসেন প্রথম,একই উপজেলার প্রান্ত মিয়া দ্বিতীয় ও কালীগঞ্জ উপজেলার বলিদাপাড়ার সাগর হোসেনের দল তৃতীয় স্থান লাভ করে। আর সেরা চালক নির্বাচিত হন বলিদাপাড়ার সোহাগ।
খেলা শেষে প্রথম স্থান অর্জনকারীকে একটি বড় ছাগল, ২য় স্থান অর্জনকারীকে ছোট ছাগল ও ৩য় স্থান অর্জনকারীর হাতে একটি স্মার্ট ফোন সেট তুলে দেন উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ, বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানী, প্রভাষক আব্দুল মাজেদসহ এলাকার সূধীজনেরা।
সবুজদেশ/এসএইচ/এসএএস