ঢাকা ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ৫ মাস পর আ.লীগ নেতাসহ দুই লাশ উত্তোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

ঝিনাইদহের পোড়াহাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হিরণ ও তার গাড়িচালক আক্তার মিয়ার লাশ আদালতের আদেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার আড়ুয়াকান্দি ও ভুপতিপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে এ দুজনের লাশ দাফনের ৫ মাস ১০ দিন পর উত্তোলন করা হয়।

নিহতের স্বজন ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা শহিদুল ইসলাম হিরণের শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার বাসা ঘেরাও করে। সেসময় বিক্ষুব্ধ জনতা তার বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এতে হিরন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। এছাড়াও তার গাড়িচালক আক্তারকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় দুই পরিবারের পক্ষ থেকে ১৭ ও ২০ নভেম্বর আদালতে অজ্ঞাত ২’শ থেকে ৩’শ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগটি আমলে নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় এজাহার গ্রহণের জন্য আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা রুমানা আফরোজ।

নিহত চেয়ারম্যানের ড্রাইভার আক্তার মিয়ার ভাই মুক্তার মিয়া জানান, গত ১৭ নভেম্বর ঝিনাইদহ সদর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অজ্ঞাত ২’শ থেকে ৩’শ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমার ভাই কোনো রাজনীতি করত না। তার হত্যার বিচার আমরা চাই।

নিহত চেয়ারম্যানের ভাতিজা ও মামলার বাদী জিয়াউল আলম বিলু জানান, ঝিনাইদহ সদর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অজ্ঞাত ২’শ থেকে ৩’শ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্ত দাবি করছি।

উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বনি আমিন জানান, আদালতের নির্দেশে লাশ দুইটি উত্তোলন করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল হবে।

সবুজদেশ/এসইউ

About Author Information
আপডেট সময় : ০৪:৫৭:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
১ Time View

ঝিনাইদহে ৫ মাস পর আ.লীগ নেতাসহ দুই লাশ উত্তোলন

আপডেট সময় : ০৪:৫৭:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

 

ঝিনাইদহের পোড়াহাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হিরণ ও তার গাড়িচালক আক্তার মিয়ার লাশ আদালতের আদেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার আড়ুয়াকান্দি ও ভুপতিপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে এ দুজনের লাশ দাফনের ৫ মাস ১০ দিন পর উত্তোলন করা হয়।

নিহতের স্বজন ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা শহিদুল ইসলাম হিরণের শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার বাসা ঘেরাও করে। সেসময় বিক্ষুব্ধ জনতা তার বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এতে হিরন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। এছাড়াও তার গাড়িচালক আক্তারকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় দুই পরিবারের পক্ষ থেকে ১৭ ও ২০ নভেম্বর আদালতে অজ্ঞাত ২’শ থেকে ৩’শ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগটি আমলে নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় এজাহার গ্রহণের জন্য আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা রুমানা আফরোজ।

নিহত চেয়ারম্যানের ড্রাইভার আক্তার মিয়ার ভাই মুক্তার মিয়া জানান, গত ১৭ নভেম্বর ঝিনাইদহ সদর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অজ্ঞাত ২’শ থেকে ৩’শ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমার ভাই কোনো রাজনীতি করত না। তার হত্যার বিচার আমরা চাই।

নিহত চেয়ারম্যানের ভাতিজা ও মামলার বাদী জিয়াউল আলম বিলু জানান, ঝিনাইদহ সদর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অজ্ঞাত ২’শ থেকে ৩’শ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্ত দাবি করছি।

উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বনি আমিন জানান, আদালতের নির্দেশে লাশ দুইটি উত্তোলন করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল হবে।

সবুজদেশ/এসইউ