ঢাকা ১০:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির ত্রিমুখী সংঘর্ষ, আহত ১১

সবুজদেশ ডেস্ক:

 

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় ১১ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ২০০ জনকে আসামি করে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে মামলা দুটি রেকর্ড করা হয়। এ ঘটনায় রোববার (১৯ জানুয়ারি) ভোরে দুই যুবদল কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দর্শনা থানার সেকেন্ড অফিসার অনুজ কুমার গ্রেপ্তারের বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, দর্শনা পৌর এলাকার শ্যামপুর গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে যুবদল কর্মী রাজ হোসেন (৩০) ও সবুজ হোসেন (৩২)।

আহতরা হলেন, দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট (৪৮), যুবদল নেতা মোহন হোসেন (৩০), শিপন মিয়া (২৮), রকিবুল হাসান ব্রাইট (৩৭), ছাত্রদল নেতা আরিফুল ইসলাম (২৫), মামুন (২৫) ও মিতুল (২৪)। বাকি ৪ জনের নাম তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দর্শনা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন ও যুবদল নেতা মো. মোহন হোসেন কেরু চিনিকল ক্যাম্পাসে মিটিং করছিলেন। এ সময় একই দলের কতিপয় নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে মিটিংয়ের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কথাকাটাকাটি হয়। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই ঘটনার জেরে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে ১১ জন আহত হয়েছেন। পরে শুরু হয় উভয়পক্ষের দেশীয় অস্ত্রের মহড়া। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে তাদের এই অস্ত্রের মহড়া। পরে চুয়াডাঙ্গা সেনাবাহিনীর একটি দল ও দর্শনা থানা পুলিশ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই রাতেই দর্শনার একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন, যুব সংঘ ক্লাব, ঘরবাড়ি ও দোকান পাটসহ ১৫টি প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করা হয়।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে মনির হোসেন ও সাজ্জাদ হোসেন নামে দুজন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেন।

দর্শনা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চোয়ারম্যান আহাম্মদ আলি জানান, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তবে অপরাধ করলে কেউ রেহাই পাবে না।

দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট বলেন, আমিসহ ১১ জনকে জখম করা হয়েছে। সবাই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

দর্শনা থানার সেকেন্ড অফিসার অনুজ কুমার জানান, পৃথক দুটি মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমির জানান, এ ঘটনায় দুটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। প্রতিটা মামলায় ২০-২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।

সবুজদেশ/এসইউ

About Author Information
আপডেট সময় : ১০:৪৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
১৪ Time View

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির ত্রিমুখী সংঘর্ষ, আহত ১১

আপডেট সময় : ১০:৪৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

 

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় ১১ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ২০০ জনকে আসামি করে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে মামলা দুটি রেকর্ড করা হয়। এ ঘটনায় রোববার (১৯ জানুয়ারি) ভোরে দুই যুবদল কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দর্শনা থানার সেকেন্ড অফিসার অনুজ কুমার গ্রেপ্তারের বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, দর্শনা পৌর এলাকার শ্যামপুর গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে যুবদল কর্মী রাজ হোসেন (৩০) ও সবুজ হোসেন (৩২)।

আহতরা হলেন, দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট (৪৮), যুবদল নেতা মোহন হোসেন (৩০), শিপন মিয়া (২৮), রকিবুল হাসান ব্রাইট (৩৭), ছাত্রদল নেতা আরিফুল ইসলাম (২৫), মামুন (২৫) ও মিতুল (২৪)। বাকি ৪ জনের নাম তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দর্শনা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন ও যুবদল নেতা মো. মোহন হোসেন কেরু চিনিকল ক্যাম্পাসে মিটিং করছিলেন। এ সময় একই দলের কতিপয় নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে মিটিংয়ের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কথাকাটাকাটি হয়। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই ঘটনার জেরে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে ১১ জন আহত হয়েছেন। পরে শুরু হয় উভয়পক্ষের দেশীয় অস্ত্রের মহড়া। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে তাদের এই অস্ত্রের মহড়া। পরে চুয়াডাঙ্গা সেনাবাহিনীর একটি দল ও দর্শনা থানা পুলিশ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই রাতেই দর্শনার একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন, যুব সংঘ ক্লাব, ঘরবাড়ি ও দোকান পাটসহ ১৫টি প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করা হয়।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে মনির হোসেন ও সাজ্জাদ হোসেন নামে দুজন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেন।

দর্শনা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চোয়ারম্যান আহাম্মদ আলি জানান, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তবে অপরাধ করলে কেউ রেহাই পাবে না।

দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট বলেন, আমিসহ ১১ জনকে জখম করা হয়েছে। সবাই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

দর্শনা থানার সেকেন্ড অফিসার অনুজ কুমার জানান, পৃথক দুটি মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমির জানান, এ ঘটনায় দুটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। প্রতিটা মামলায় ২০-২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।

সবুজদেশ/এসইউ