ঢাকা ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

সবুজদেশ ডেস্ক:

ছবি সংগৃহীত-

 

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা শীতে কাঁপছে। কনকনে ঠান্ডা আর হাড় কাঁপানো শীতে জবুথুবু জনজীবন। তীব্র শীত আর কুয়াশায় অসহায় জীবন যাপন করছে খেটে-খাওয়া মানুষ। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এ অঞ্চলে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় চুযাডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

ভোরের কুয়াশা আর সকালে তীব্র শীতের সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়া। কাবু করে দিচ্ছে মানুষ ও প্রাণীকুল। গায়ে গরম কাপড় জড়িয়ে কাঁপতে কাঁপতে জীবন-জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই আরও বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। রাতে শীতের দাপট দৈত্যের মতো হানা দিচ্ছে এ অঞ্চলের প্রকৃতিতে।

শীতের মধ্যেই বোরো ধান লাগাতে আসেন আবেদ আলী। তিনি জানান, কাদা পানিতে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। শীতে হাতের আঙ্গুল আকাটা হয়ে যাচ্ছে। ভ্যানচালক রফিকের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, কিছুদিন শীত একটু কম ছিল। সোমবার আবার কনকনে ঠান্ডা। ভ্যান চালাতে কষ্ট হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. জামিনুর রহমান জানান, আগামী কয়েকদিন এ অঞ্চলে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এরপর ২৬ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা দুদিন একটু বাড়বে। তারপর আবারও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

জেলা ত্রাণ অফিস জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ১০ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে। সেটা বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ৩০ লাখ টাকা দিয়েছে। এই টাকা চারটি উপজেলার ইউএনওদের দেয়া হয়েছে। ইউএনওগন শীতবস্ত্র (কম্বল) কিনে শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করেছেন।

সবুজদেশ/এসইউ

About Author Information
আপডেট সময় : ০১:০১:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
১৪ Time View

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

আপডেট সময় : ০১:০১:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

 

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা শীতে কাঁপছে। কনকনে ঠান্ডা আর হাড় কাঁপানো শীতে জবুথুবু জনজীবন। তীব্র শীত আর কুয়াশায় অসহায় জীবন যাপন করছে খেটে-খাওয়া মানুষ। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এ অঞ্চলে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় চুযাডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

ভোরের কুয়াশা আর সকালে তীব্র শীতের সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়া। কাবু করে দিচ্ছে মানুষ ও প্রাণীকুল। গায়ে গরম কাপড় জড়িয়ে কাঁপতে কাঁপতে জীবন-জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই আরও বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। রাতে শীতের দাপট দৈত্যের মতো হানা দিচ্ছে এ অঞ্চলের প্রকৃতিতে।

শীতের মধ্যেই বোরো ধান লাগাতে আসেন আবেদ আলী। তিনি জানান, কাদা পানিতে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। শীতে হাতের আঙ্গুল আকাটা হয়ে যাচ্ছে। ভ্যানচালক রফিকের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, কিছুদিন শীত একটু কম ছিল। সোমবার আবার কনকনে ঠান্ডা। ভ্যান চালাতে কষ্ট হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. জামিনুর রহমান জানান, আগামী কয়েকদিন এ অঞ্চলে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এরপর ২৬ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা দুদিন একটু বাড়বে। তারপর আবারও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

জেলা ত্রাণ অফিস জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ১০ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে। সেটা বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ৩০ লাখ টাকা দিয়েছে। এই টাকা চারটি উপজেলার ইউএনওদের দেয়া হয়েছে। ইউএনওগন শীতবস্ত্র (কম্বল) কিনে শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করেছেন।

সবুজদেশ/এসইউ