বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে মাইলেজ ফেরত পাওয়ার দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। কর্মবিরতির অংশ হিসেবে রাত ১২টা পর শিডিউলে থাকা ট্রেনগুলোতে উঠেননি তারা। ফলে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। এতে বন্ধ রাখা হয় খুলনাসহ সারাদেশের ট্রেন চলাচল।
সোমবার মধ্যরাত থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেন রানিং স্টাফরা। হঠাৎ করে ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় খুলনার যাত্রীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। নির্ধারিত গন্তব্যে যেতে না পেরে হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় কোটচাঁদপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, অসংখ্য যাত্রী টিকিট কাউন্টারের সামনে ভিড় করেছেন। কেউ কেউ ট্রেন কখন চালু হবে তা জানতে চাইছেন। আবার অনেকে ট্রেন না চলায় টিকিটের টাকা ফেরত নিচ্ছেন।
টাকা ফেরত নেওয়ার পর নুর আলম নামে এক যাত্রী বলেন, পরিবারের তিন সদস্যকে নিয়ে ঢাকা যাওয়ার জন্য এসেছিলাম। কিন্তু ট্রেন না চলায় ফিরে যাচ্ছি। এখন কোটচাঁদপুর মেইন বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে করে যাব বলে চিন্তা করছি।
টিকিট বুকিং ক্লীয়ার ইফাজ আহম্মেদ বলেন, সকাল থেকে ৩৮ টি টিকিটের ৮ হাজার ৫শ ৩১ টাকা রিফান্ড করা হয়েছে। যার মধ্যে বেনাপোল, চিত্র,কপোতাক্ষ সুন্দরবন সাগরদাঁড়ি,রুপসার টিকিট রয়েছে।
কোটচাঁদপুর থানার (পিএসআই) আলামিন হোসেন বলেন, সকাল থেকে ডিউটিতে আছি। এখন পর্যন্ত কোন ধরনের ঘটনা ঘটেনি। তবে অনেক যাত্রীকে স্টেশনে এসে ফিরে যেতে দেখেছি।
কোটচাঁদপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার দিপংকর সাহা বলেন, সকাল থেকে ডিউটিতে আছি। অনেক যাত্রী না জেনে স্টেশনে আসেন। পরে জানতে পেরে ফেরত গেছেন। এ ছাড়া অনেকের টিকিট রিফান্ডও করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ আন্দোলন মূলত ট্রেনের ভিতরে যারা কাজ করেন, গেল সরকারের সময় তাদের মাইলেজ বন্ধ করে দেন।সেই মাইলেজ ফিরে পাবার দাবিতে সোমবার রাত ১২ টা থেকে সব রেল বন্ধ হয়ে যায়। এ স্টেশন থেকে সর্বশেষ বেনাপোল ট্রেনটি ৫ টা ২২ মিনিটের সময় ছেড়ে গেছেন।
যাত্রীরা জানান, সকালে রেলস্টেশনে এসে তারা জানতে পারেন যে ট্রেন চলবে না। টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু নির্ধারিত গন্তব্যে তারা যেতে পারছেন না। এর ফলে তাদেরকে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। এখন বাসে তাদেরকে নির্ধারিত গন্তব্যে যেতে হবে।
সবুজদেশ/এসইউ