ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লিবিয়ায় উপকূলে ২০ বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার

 

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী ব্রেগার পশ্চিমে আল-আকিলা এলাকা থেকে অন্তত ২০ জনের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক বলে লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষের ধারণা।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি বিভাগের পরিচালক এএইচএম মাসুম বিল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘২০ মরদেহের সবগুলো লিবিয়ার ব্রেগা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে আজদাদিয়া নামক স্থানে প্রায় গলিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। তাঁদের সঙ্গে কোনও ভ্রমণ দলিলও মেলেনি। ঠিক কবে ভুক্তভোগীরা নৌকাডুবির শিকার হয়েছেন, তা কোনও কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করতে পারেনি।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দূতাবাসের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে দেখা যায়, সাগর পারে লাশ পড়ে আছে। কয়েকটি লাশ সৈকতে দাঁড়ানো একটি ট্রাকে তোলা হয়েছে। ঘটনাস্থল লিবিয়ার বেনগাজির ব্রেগা (আল বুরিকা) শহরের পশ্চিমে সৈকত।

ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী ব্রেগা তীর থেকে বিগত দুইদিনে বেশ কয়েকজন অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে বাংলাদেশ দূতাবাস বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছে। স্থানীয় উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষের মতে, অভিবাসন প্রত্যাশীদের একটি নৌকা ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়ার পর এসব মৃতদেহ ব্রেগা তীরে ভেসে এসেছে। নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস ইতোমধ্যে একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

গত ২৯ জানুয়ারি অভিবাসী উদ্ধার তৎপরতা নজরদারি সংগঠন অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক মাইগ্র্যান্ট রেসকিউ ওয়াচের রব গোয়ানস এক্স পোস্টে জানান, লিবিয়ার সিআইডি ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস মিলে আল-উকাইলা এলাকার সৈকতে ভেসে আসা আরও দুটি লাশ উদ্ধার করেছে। সব মিলে উদ্ধার হওয়া লাশের সংখ্যা হলো ২০।

এর আগেরদিন এক পোস্টে তিনি আরও ১১ লাশ উদ্ধারের তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, নথি পর্যালোচনা করে এদের মধ্যে কয়েকজনকে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর আগে ২৭ জানুয়ারি প্রথম পোস্টে ৭ লাশ উদ্ধারের তথ্য দেন তিনি।

সবুজদেশ/এসইউ

Tag :
About Author Information

লিবিয়ায় উপকূলে ২০ বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার

Update Time : ১০:৫৯:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী ব্রেগার পশ্চিমে আল-আকিলা এলাকা থেকে অন্তত ২০ জনের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক বলে লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষের ধারণা।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি বিভাগের পরিচালক এএইচএম মাসুম বিল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘২০ মরদেহের সবগুলো লিবিয়ার ব্রেগা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে আজদাদিয়া নামক স্থানে প্রায় গলিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। তাঁদের সঙ্গে কোনও ভ্রমণ দলিলও মেলেনি। ঠিক কবে ভুক্তভোগীরা নৌকাডুবির শিকার হয়েছেন, তা কোনও কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করতে পারেনি।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দূতাবাসের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে দেখা যায়, সাগর পারে লাশ পড়ে আছে। কয়েকটি লাশ সৈকতে দাঁড়ানো একটি ট্রাকে তোলা হয়েছে। ঘটনাস্থল লিবিয়ার বেনগাজির ব্রেগা (আল বুরিকা) শহরের পশ্চিমে সৈকত।

ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী ব্রেগা তীর থেকে বিগত দুইদিনে বেশ কয়েকজন অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে বাংলাদেশ দূতাবাস বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছে। স্থানীয় উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষের মতে, অভিবাসন প্রত্যাশীদের একটি নৌকা ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়ার পর এসব মৃতদেহ ব্রেগা তীরে ভেসে এসেছে। নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস ইতোমধ্যে একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

গত ২৯ জানুয়ারি অভিবাসী উদ্ধার তৎপরতা নজরদারি সংগঠন অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক মাইগ্র্যান্ট রেসকিউ ওয়াচের রব গোয়ানস এক্স পোস্টে জানান, লিবিয়ার সিআইডি ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস মিলে আল-উকাইলা এলাকার সৈকতে ভেসে আসা আরও দুটি লাশ উদ্ধার করেছে। সব মিলে উদ্ধার হওয়া লাশের সংখ্যা হলো ২০।

এর আগেরদিন এক পোস্টে তিনি আরও ১১ লাশ উদ্ধারের তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, নথি পর্যালোচনা করে এদের মধ্যে কয়েকজনকে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর আগে ২৭ জানুয়ারি প্রথম পোস্টে ৭ লাশ উদ্ধারের তথ্য দেন তিনি।

সবুজদেশ/এসইউ