ঢাকা ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিচার শুরু

 

লায়লা আখতার ফরহাদকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ক্যান্টনমেন্ট থানায় করা মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এরইমধ্য তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। 

মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মো. মাহবুবুল হকের আদালত আসামির অব্যাহতি আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী ইসরাত হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিন আসামি মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরপর তার আইনজীবী মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন খারিজ  করে দেন। একইসঙ্গে আদালত অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। আগামী ১ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। এসময় বাদী লায়লা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করেন লায়লা আখতার ফরহাদ। মামলায় অভিযোগ করা হয়, প্রিন্স মামুনের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় লায়লার। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই পরিবারের সম্মতিতে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে লায়লার বিয়ের কথা চূড়ান্ত হয়। তখন থেকে প্রিন্স মামুন লায়লার বারিধারা ডিওএইচএসের বাসায় বাস করতে থাকেন। এরপর থেকে প্রিন্স মামুন বিভিন্ন অজুহাতে লায়লার কাছ থেকে টাকা নিতেন। প্রায়সময়ই মাদকসেবন করে গভীর রাতে বাসায় আসতেন। অশ্লীল ভাষায় কথা বলতেন। এমনকি মাঝে মধ্যে লায়লাকে মারপিট করতেন। বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবি আদায়ের পাঁয়তারা করতেন মামুন। ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর উত্তরায় একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে বাসায় ফেরেন তারা। এ সময় মামুনসহ আরও দুজন মদপানের জন্য মিরপুরে যাওয়ার পরামর্শ করেন। লায়লা তাকে নিষেধ করেন এবং বাধা দেন। এতে মামুন উত্তেজিত হয়ে লায়লাকে গালি দেন। গালি দিতে নিষেধ করলে মামুন লায়লাকে মারধর করেন ও হত্যার চেষ্টা করেন।

তদন্ত শেষে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেয় ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ। পরে ওই বছরের ৩ জুন অভিযোগ পত্র গ্রহণ করেন আদালত। তবে পলাতক থাকায় প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরদিন ৪ জুন মামুন আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।

সবুজদেশ/এসইউ

Tag :
About Author Information

টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিচার শুরু

Update Time : ০১:২৩:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

লায়লা আখতার ফরহাদকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ক্যান্টনমেন্ট থানায় করা মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এরইমধ্য তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। 

মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মো. মাহবুবুল হকের আদালত আসামির অব্যাহতি আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী ইসরাত হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিন আসামি মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরপর তার আইনজীবী মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন খারিজ  করে দেন। একইসঙ্গে আদালত অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। আগামী ১ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। এসময় বাদী লায়লা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করেন লায়লা আখতার ফরহাদ। মামলায় অভিযোগ করা হয়, প্রিন্স মামুনের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় লায়লার। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই পরিবারের সম্মতিতে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে লায়লার বিয়ের কথা চূড়ান্ত হয়। তখন থেকে প্রিন্স মামুন লায়লার বারিধারা ডিওএইচএসের বাসায় বাস করতে থাকেন। এরপর থেকে প্রিন্স মামুন বিভিন্ন অজুহাতে লায়লার কাছ থেকে টাকা নিতেন। প্রায়সময়ই মাদকসেবন করে গভীর রাতে বাসায় আসতেন। অশ্লীল ভাষায় কথা বলতেন। এমনকি মাঝে মধ্যে লায়লাকে মারপিট করতেন। বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবি আদায়ের পাঁয়তারা করতেন মামুন। ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর উত্তরায় একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে বাসায় ফেরেন তারা। এ সময় মামুনসহ আরও দুজন মদপানের জন্য মিরপুরে যাওয়ার পরামর্শ করেন। লায়লা তাকে নিষেধ করেন এবং বাধা দেন। এতে মামুন উত্তেজিত হয়ে লায়লাকে গালি দেন। গালি দিতে নিষেধ করলে মামুন লায়লাকে মারধর করেন ও হত্যার চেষ্টা করেন।

তদন্ত শেষে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেয় ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ। পরে ওই বছরের ৩ জুন অভিযোগ পত্র গ্রহণ করেন আদালত। তবে পলাতক থাকায় প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরদিন ৪ জুন মামুন আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।

সবুজদেশ/এসইউ