ঢাকা ০২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাইব্রেরীটিই যেন চাপালী গ্রামের প্রাণ শক্তি

 

জীবন বাঁচাতে রক্তের বিকল্প নেই। চলার পথে যে কোন মানুষ দুর্ঘটনায় পড়ে রক্তক্ষরনে অথবা তার দেহে জরুরী অস্ত্রাপোচারে রক্তের প্রয়োজন হতে পারে। কিন্ত শরীরে কোন গ্রুপের রক্ত আছে তা আগে থেকে জানা না থাকলে এমন মূহুর্তে বিপদের আর শেষ থাকে না। কারন যে কোন মানুষের গুরুতর অবস্থায় রক্তের গ্রুপ নির্নয় করতে আরও বেশ সময় পার হয়ে যায়। ততক্ষনে রক্তের অভাবে তার মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে যায়। এ সকল বিষয় গুরুত্ব দিয়ে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের চাপালী পাবলিক লাইব্রেরী বিগত এক যুগ ধরে কাজ করে যাচ্ছে।

সূত্রে জানাগেছে, বিগত ২০০০ সালে গ্রামের স্কুল মাঠে প্রতিষ্ঠিত এ লাইব্রেরীটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিনামূল্যে মেডিকেল টিম, রক্তের গ্রুপ নির্নয়সহ বিপদগ্রস্থ মানুষের জরুরী প্রয়োজনে ডোনার হিসেবে বিনামূল্যে রক্ত দান করে আসছে। গ্রামটি কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন শহরতলীর একটি গ্রাম। প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগে সারাবছর উন্নয়ন ও জনকল্যানমুলক কাজ, নাটকসহ নানামুখী বিনোদনের ব্যবস্থা থাকে। ফলে গ্রামটিতে সব সময় এই লাইব্রেরী ঘিরেই আনন্দমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। আবার লাইব্রেরীিেটতে রয়েছে অসংখ্য বই। যেগুলো সব বয়সী জ্ঞান পিপাষুরা ক্ষুধা মেটাচ্ছেন। এছাড়াও লাইব্রেরীটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকে। ফলে এ লাইব্রেরিটিই পাল্টে দিয়েছে আশপাশের গ্রামগুলোর চিত্র।

লাইব্রেরিটির সহ-সভাপতি সাকলাইন হোসেন জানান, বিগত ২০০০ সালে গ্রামের মাত্র ১৪ জন যুবক মিলে চাপালী পাবলিক লাইব্রেরীটির প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্ত লাইব্রেরীটির উদ্যোগে বিভিন্ন জনকল্যানমুখী কাজ করে আসছেন। সে কারনেই এ উপজেলার মধ্যে তাদের লাইব্রেরীটির সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ^বিদ্যালয়ে পড়ুয়া এই যুবক আরও বলেন, যত কাজই তারা করুক না কেন, গুরুত্ব বিবেচনায় তারা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন বিনামুল্যে রক্তের গ্রুপ নির্নয়ে। কারন এখনও অনেক গ্রামের মানুষের একটা অংশ অসচেতনতায় নিজের এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের বিশেষ করে শিশু,কিশোরদের রক্তের গ্রুপ নির্নয়ে অনীহা দেখিয়ে থাকেন। আবার অনেকে নিজেরা বুঝতে পারেন রক্তের গ্রুপ নির্নয় করা জরুরী। কিন্ত সে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সম্পাদনে তাদের অলসতায় পেয়ে বসে। অসুস্থতায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এ কাজটিতে সময় হয়ে ওঠেনা। এ কারনে তাদের কোন কোন সময়ে অপূরনীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এ সকল অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে তারা রক্তের গ্রুপ নির্নয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।

লাইব্রেরীর সাংগাঠনিক সম্পাদক এস এম আমান জানান, তাদের গ্রামের পাবলিক লাইব্রেরিটিই হলো ঐক্যের খুঁটি। তাদের গ্রামটিতে অন্য গ্রামের মত সামাজিক রাজনৈতিক ভাগাভাগি আছে। কিন্ত লাইব্রেরী ঘিরে কোন রানীতি দলাদলি নেই। লাইব্রেরীর প্রশ্নে সবাই এক। প্রত্যেকে মনে করে এটি তাদের সম্পদ । সকলের নজর আছে তাই গ্রামের সামগ্রীক কোন রোজগার হলে তা জমা হয় লাইব্রেরীতেই।

পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি মিলন হোসেন জানান, মানুষের জন্য কল্যানমুখী কাজ করার মধ্যে এক ধরনের আনন্দ আছে। বিকাল হলেই তাদের গ্রামের মুরব্বীরা চলে যান লাইব্রেরিতে। সেখানে বসে বই,পত্রিকা পড়ে ভালোভাবে সময় পার করে থাকেন। বিশেষ করে বৃদ্ধ বয়সে মানুষ অনেক সময় নিজেরা অসহায়বোধ করে থাকেন। তবে তাদের গ্রামটি একেবারেই ব্যতিক্রমী। অনেক গ্রামেই এ ধরনের কোন সুযোগ নেই।

লাইব্রেরিটির সভাপতি ইফতেখারুল ইসলাম বিপুল জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সময় তাদের কয়েকজন রক্তের ডোনার খ্যাত বাধনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রথমদিকে লাইব্রেরীর সদস্যদের অনেককে রক্তের গ্রুপ নির্নয়ের প্রশিক্ষণ দেয় বাধন। এরপর তারা কাজ শুরু করেন। এ পর্যন্ত তারা এ উপজেলার মোট ৮ টি ইউনিয়ন পরিষদে ক্যাম্প স্থাপনের মাধ্যমে রক্তের গ্রুপ নির্নয় করেছেন। আর অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলে মোট ১৮ হাজারের অধিক মানুষের রক্তের গ্রুপ বিনামূল্যে নির্নয় করেছেন। তিনি বলেন, বিপদ মূহুর্তে যে কোন মানুষের রক্তের প্রয়োজন হতে পারে। এমন জরুরী মূহুর্তে রক্তের যোগান মিললেও তার শরীরে কোন গ্রুপের রক্ত জানা না থাকলে সেটি নির্নয় করতে বেশ সময় নষ্ট হয়। সে সময়ের মধ্যে শরীরে রক্তের অভাবেই অনেকে মারাও যায়। অথচ গ্রুপ জানা থাকলে এমন বিপদমূহুর্তে শরীরে রক্ত দেয়া অনেকটা সহজ ও দ্রুত ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়।
এছাড়াও এ পর্যন্ত যতগুলো মানুষের রক্তের গ্রুপ নির্নয় করা হয়েছে তা তাদের নাম ঠিকানা রেজিষ্ট্রার বইতে লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে কারও জরুরীভাবে রক্ত লাগলে তখন রেজিষ্ট্রার বই দেখে অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গ্রুপের মাধ্যমে রক্তের ডোনার খোঁজা হয়। তখন দ্রুতই রক্তের ব্যবস্থা হয়ে যায়। এমন জরুরী উপলব্ধি করে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের চাপালী লাইব্রেরীর উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্নয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম জানান, বই হচ্ছে জ্ঞানের ভান্ডার। আমরা কত সময় অযথা গল্প করে সময় কাটায়। এ সময়টা বই পড়লে অনেক কিছু জানা যায়। তিনি বলেন, এ উপজেলাতে যতগুলো বইপড়ার উপযোগী লাইব্রেরী আছে তার মধ্যে চাপালী পাবলিক লাইব্রেরী অন্যতম। তারা একদিকে রক্তের গ্রুপ নির্নয় করে দিচ্ছে অন্যদিকে কারও জরুরী ভিত্তিতে রক্ত প্রয়োজন হলে তারা তাদের রেজিষ্ট্রার খাতা দেখে রক্ত সংগ্রহ করে ডোনার হিসেবে কাজ করে থাকে। ফলে লাইব্রেরীটির কর্মকান্ড অত্যন্ত মহৎ।

সবুজদেশ/এসইউ

Tag :
জনপ্রিয়

লাইব্রেরীটিই যেন চাপালী গ্রামের প্রাণ শক্তি

Update Time : ০৭:১৭:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

জীবন বাঁচাতে রক্তের বিকল্প নেই। চলার পথে যে কোন মানুষ দুর্ঘটনায় পড়ে রক্তক্ষরনে অথবা তার দেহে জরুরী অস্ত্রাপোচারে রক্তের প্রয়োজন হতে পারে। কিন্ত শরীরে কোন গ্রুপের রক্ত আছে তা আগে থেকে জানা না থাকলে এমন মূহুর্তে বিপদের আর শেষ থাকে না। কারন যে কোন মানুষের গুরুতর অবস্থায় রক্তের গ্রুপ নির্নয় করতে আরও বেশ সময় পার হয়ে যায়। ততক্ষনে রক্তের অভাবে তার মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে যায়। এ সকল বিষয় গুরুত্ব দিয়ে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের চাপালী পাবলিক লাইব্রেরী বিগত এক যুগ ধরে কাজ করে যাচ্ছে।

সূত্রে জানাগেছে, বিগত ২০০০ সালে গ্রামের স্কুল মাঠে প্রতিষ্ঠিত এ লাইব্রেরীটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিনামূল্যে মেডিকেল টিম, রক্তের গ্রুপ নির্নয়সহ বিপদগ্রস্থ মানুষের জরুরী প্রয়োজনে ডোনার হিসেবে বিনামূল্যে রক্ত দান করে আসছে। গ্রামটি কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন শহরতলীর একটি গ্রাম। প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগে সারাবছর উন্নয়ন ও জনকল্যানমুলক কাজ, নাটকসহ নানামুখী বিনোদনের ব্যবস্থা থাকে। ফলে গ্রামটিতে সব সময় এই লাইব্রেরী ঘিরেই আনন্দমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। আবার লাইব্রেরীিেটতে রয়েছে অসংখ্য বই। যেগুলো সব বয়সী জ্ঞান পিপাষুরা ক্ষুধা মেটাচ্ছেন। এছাড়াও লাইব্রেরীটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকে। ফলে এ লাইব্রেরিটিই পাল্টে দিয়েছে আশপাশের গ্রামগুলোর চিত্র।

লাইব্রেরিটির সহ-সভাপতি সাকলাইন হোসেন জানান, বিগত ২০০০ সালে গ্রামের মাত্র ১৪ জন যুবক মিলে চাপালী পাবলিক লাইব্রেরীটির প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্ত লাইব্রেরীটির উদ্যোগে বিভিন্ন জনকল্যানমুখী কাজ করে আসছেন। সে কারনেই এ উপজেলার মধ্যে তাদের লাইব্রেরীটির সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ^বিদ্যালয়ে পড়ুয়া এই যুবক আরও বলেন, যত কাজই তারা করুক না কেন, গুরুত্ব বিবেচনায় তারা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন বিনামুল্যে রক্তের গ্রুপ নির্নয়ে। কারন এখনও অনেক গ্রামের মানুষের একটা অংশ অসচেতনতায় নিজের এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের বিশেষ করে শিশু,কিশোরদের রক্তের গ্রুপ নির্নয়ে অনীহা দেখিয়ে থাকেন। আবার অনেকে নিজেরা বুঝতে পারেন রক্তের গ্রুপ নির্নয় করা জরুরী। কিন্ত সে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সম্পাদনে তাদের অলসতায় পেয়ে বসে। অসুস্থতায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এ কাজটিতে সময় হয়ে ওঠেনা। এ কারনে তাদের কোন কোন সময়ে অপূরনীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এ সকল অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে তারা রক্তের গ্রুপ নির্নয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।

লাইব্রেরীর সাংগাঠনিক সম্পাদক এস এম আমান জানান, তাদের গ্রামের পাবলিক লাইব্রেরিটিই হলো ঐক্যের খুঁটি। তাদের গ্রামটিতে অন্য গ্রামের মত সামাজিক রাজনৈতিক ভাগাভাগি আছে। কিন্ত লাইব্রেরী ঘিরে কোন রানীতি দলাদলি নেই। লাইব্রেরীর প্রশ্নে সবাই এক। প্রত্যেকে মনে করে এটি তাদের সম্পদ । সকলের নজর আছে তাই গ্রামের সামগ্রীক কোন রোজগার হলে তা জমা হয় লাইব্রেরীতেই।

পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি মিলন হোসেন জানান, মানুষের জন্য কল্যানমুখী কাজ করার মধ্যে এক ধরনের আনন্দ আছে। বিকাল হলেই তাদের গ্রামের মুরব্বীরা চলে যান লাইব্রেরিতে। সেখানে বসে বই,পত্রিকা পড়ে ভালোভাবে সময় পার করে থাকেন। বিশেষ করে বৃদ্ধ বয়সে মানুষ অনেক সময় নিজেরা অসহায়বোধ করে থাকেন। তবে তাদের গ্রামটি একেবারেই ব্যতিক্রমী। অনেক গ্রামেই এ ধরনের কোন সুযোগ নেই।

লাইব্রেরিটির সভাপতি ইফতেখারুল ইসলাম বিপুল জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সময় তাদের কয়েকজন রক্তের ডোনার খ্যাত বাধনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রথমদিকে লাইব্রেরীর সদস্যদের অনেককে রক্তের গ্রুপ নির্নয়ের প্রশিক্ষণ দেয় বাধন। এরপর তারা কাজ শুরু করেন। এ পর্যন্ত তারা এ উপজেলার মোট ৮ টি ইউনিয়ন পরিষদে ক্যাম্প স্থাপনের মাধ্যমে রক্তের গ্রুপ নির্নয় করেছেন। আর অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলে মোট ১৮ হাজারের অধিক মানুষের রক্তের গ্রুপ বিনামূল্যে নির্নয় করেছেন। তিনি বলেন, বিপদ মূহুর্তে যে কোন মানুষের রক্তের প্রয়োজন হতে পারে। এমন জরুরী মূহুর্তে রক্তের যোগান মিললেও তার শরীরে কোন গ্রুপের রক্ত জানা না থাকলে সেটি নির্নয় করতে বেশ সময় নষ্ট হয়। সে সময়ের মধ্যে শরীরে রক্তের অভাবেই অনেকে মারাও যায়। অথচ গ্রুপ জানা থাকলে এমন বিপদমূহুর্তে শরীরে রক্ত দেয়া অনেকটা সহজ ও দ্রুত ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়।
এছাড়াও এ পর্যন্ত যতগুলো মানুষের রক্তের গ্রুপ নির্নয় করা হয়েছে তা তাদের নাম ঠিকানা রেজিষ্ট্রার বইতে লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে কারও জরুরীভাবে রক্ত লাগলে তখন রেজিষ্ট্রার বই দেখে অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গ্রুপের মাধ্যমে রক্তের ডোনার খোঁজা হয়। তখন দ্রুতই রক্তের ব্যবস্থা হয়ে যায়। এমন জরুরী উপলব্ধি করে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের চাপালী লাইব্রেরীর উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্নয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম জানান, বই হচ্ছে জ্ঞানের ভান্ডার। আমরা কত সময় অযথা গল্প করে সময় কাটায়। এ সময়টা বই পড়লে অনেক কিছু জানা যায়। তিনি বলেন, এ উপজেলাতে যতগুলো বইপড়ার উপযোগী লাইব্রেরী আছে তার মধ্যে চাপালী পাবলিক লাইব্রেরী অন্যতম। তারা একদিকে রক্তের গ্রুপ নির্নয় করে দিচ্ছে অন্যদিকে কারও জরুরী ভিত্তিতে রক্ত প্রয়োজন হলে তারা তাদের রেজিষ্ট্রার খাতা দেখে রক্ত সংগ্রহ করে ডোনার হিসেবে কাজ করে থাকে। ফলে লাইব্রেরীটির কর্মকান্ড অত্যন্ত মহৎ।

সবুজদেশ/এসইউ