ঢাকা ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জের সাবেক চেয়ারম্যানকে মারধর করে পুলিশে দিল জনতা

 

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। এ সময় তার ভাই সুমনকেও মারধর করা হয়। রবিবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে যশোর ল্যাবএইডের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, রবিবার বিকেলে যশোরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। সেখানে স্থানীয়রা তাকে চিনে ফেলে মারধর করে। এরপর যশোর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয় জনতা। পরে যশোর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে হেফাজতে নেয়।

যশোর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মঞ্জুরুল ইসলাম চৌধুরি সবুজদেশ নিউজকে বলেন, স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। এরপর ডিবি পুলিশের একটি দল আবুল কালাম আজাদ ও তার ভাই সুমনকে নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে কোন মামলা আছে কিনা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিত সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। তার হাত থেকে রেহাই পাইনি খোদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তার মতের বিরুদ্ধে গেলেই নেমে আসতো নির্যাতনের খড়গ। টর্চার সেলে আটকে রেখে করতো নির্যাতন। চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মাদকের গডফাদার হিসেবে পরিচিত। র‌্যাবের হাতেও বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সবুজদেশ/এসএএস

About Author Information

কালীগঞ্জের সাবেক চেয়ারম্যানকে মারধর করে পুলিশে দিল জনতা

Update Time : ০৯:২৩:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। এ সময় তার ভাই সুমনকেও মারধর করা হয়। রবিবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে যশোর ল্যাবএইডের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, রবিবার বিকেলে যশোরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। সেখানে স্থানীয়রা তাকে চিনে ফেলে মারধর করে। এরপর যশোর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয় জনতা। পরে যশোর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে হেফাজতে নেয়।

যশোর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মঞ্জুরুল ইসলাম চৌধুরি সবুজদেশ নিউজকে বলেন, স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। এরপর ডিবি পুলিশের একটি দল আবুল কালাম আজাদ ও তার ভাই সুমনকে নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে কোন মামলা আছে কিনা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিত সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। তার হাত থেকে রেহাই পাইনি খোদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তার মতের বিরুদ্ধে গেলেই নেমে আসতো নির্যাতনের খড়গ। টর্চার সেলে আটকে রেখে করতো নির্যাতন। চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মাদকের গডফাদার হিসেবে পরিচিত। র‌্যাবের হাতেও বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সবুজদেশ/এসএএস