পরিবারের সুখের আশায় আক্কাস আলী সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন। এজন্য সংসারে তার সম্পদ বলতে যা, তার বেশিরভাগ বিক্রি করে কথিত দালাল একই উপজেলার তালিয়ান গ্রামের মিকাইলের কাছে নগদ ৭ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্ত ৩ মাস পরেই আক্কাচ আলী প্রবাসেই অবৈধ হয়ে যান। এরপর টাকা রোজগার তো দুরের কথা পালিয়ে থাকতে হয়েছে তাকে।
একদিকে পরিবারের চিন্তা অন্যদিকে নিজের চিন্তায় সব সময় দিন কাটতো তার। এভাবে দিনযাপন করা অবস্থায় তিনি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবে হঠাৎ মারা গেছেন। এদিকে বাবা মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ৮ বছরের শিশু পুত্র স্বাধিন ও তার বড় বোন হোসনে আরা ও ভাই অমিসহ ৩ ভাই বোন এখন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। স্বজনেরা মৃতদেহ দেশে ফেরত আনতে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।
নিহত আক্কাচ আলী ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার তত্বিপুর গ্রামের আলাউদ্দিন মোল্যার ছেলে।
আক্কাচ আলীর স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সুখের আশায় প্রায় ৩ বছর আগে এলাকার এক দালালের মাধ্যমে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন আক্কাস আলী। বিদেশ যাওয়ার ৩ মাস পর থেকে অবৈধভাবে প্রবাস জীবন কাটাতে থাকেন তিনি। অনাহারে অর্ধাহারে কেটেছে জীবনের অনেকটা সময়। গত বুধবার রাতে বুকে ব্যথা নিয়ে স্ত্রী সুরাইয়ার সাথে শেষ কথা হয় তার। এদিকে প্রবাসী ছেলের চিন্তায় আক্কাস আলীর বাবাও আলাউদ্দিন মোল্যা গত ৩ মাস আগে মৃত্যুবরন করেছেন।
আক্কাচ আলীর স্ত্রী সুরাইয়া বেগমের অভিযোগ করে বলেন, জমি বিক্রি ও ধারদেনা করে একই উপজেলার জামাল ইউনিয়নের বড় তালিয়ান গ্রামের আমজেদ হোসেনের ছেলে মিকাইলের মাধ্যমে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন আক্কাচ। এ জন্য তাকে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা দিতে হয়। কিন্ত তার প্রতারণায় কাজ তো দুরের কথা বেশিরভাগ সময় আক্কাচকে পালিয়ে থাকতে হয়েছে। ফলে তিনি প্রতারক মিকাইলের বিচার দাবি করেন।
সবুজদেশ/এসএইচ/এসএএস