স্বামী হত্যার বিচার ও আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার হাকিমপুর গ্রামে নিহত মোশাররফ হোসেন মুসার স্ত্রী ময়না খাতুন।
মঙ্গলবার ( ২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি তার স্বামী মাঠে কলার ক্ষেতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলে সামাজিক ও রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
হত্যাকান্ডে অংশ নেয় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রাউতাইল গ্রামের মোঃ সাঈদ মোল্যা, হরিণাকুন্ডু উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের বকুল মন্ডল, মোঃ আঃ জব্বার, মোঃ নাজমুল হোসেন, মোঃ আকুল হোসেন, মোঃ মোস্তাক হোসেন, আমিরুল ইসলাম, মোঃ আঃ আলীম মন্ডল, মোঃ মনিরুল ইসলাম, অন্তর হোসেন, মোস্তফা, মোঃ সরোয়ার ওরফে সরো, মোঃ ইকরামুল ওরফে ইকরা, মোঃ ওমর আলী, মোঃ লিটন হোসেন, মোঃ হাসান, নুর নবী, হযরত খাঁ, মহিন মন্ডল ও মোঃ কছিম মোল্যা।
এ ঘটনায় হরিণাকুন্ডু থানায় একটি হত্যা মামলা করা হলেও ১৪ দিনে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। বরং আসামীরা প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে এবং মামলার বাদী ও সাক্ষিদের প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকী দিচ্ছে। মায়ের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্ত পাঠ করেন, একমাত্র সন্তান ইমতিয়াজ আহম্মেদ অভি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নিহত’র ভাই দবির উদ্দীন, হানিফ মন্ডল, নাসির উদ্দীন, ভাতিজা রবিণ হোসেন, তানজির আহম্মেদ বাপ্পি, সানজিদ আহম্মেদ তুর্য্য, সাদিয়া মেহেজাবীন লিন্ডা ও লাবনী আক্তার। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিহত’র স্ত্রী ময়না খাতুন জানান, আসামীদের সাথে তার স্বামীর সামাজিকতা ও রাজনৈতিক বিরোধ ছিল।
এ বিরোধের জের ধরে গত ১০ ফেব্রুয়ারি একবার মোশাররফ হোসেন মুসাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরদিন সকালে মোশাররফ হোসেন মুসা মাঠে যাওয়ার সময় হাকিমপুর ব্রীজের কাছে আসামীরা জোটবদ্ধ হয়ে ধারালো অস্ত্র, শাবল, লোহার রডসহ বিভিন্ন অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে হত্যা করে। হত্যার ১৪ দিন পার হলেও আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় পরিবারের চরম হতাশা বিরাজ করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয়।
সবুজদেশ/এসইউ