ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনির্দিষ্টকালের জন্য কুয়েট বন্ধ ঘোষণা

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৮:৫০:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে।

ছবি সংগৃহীত-

 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সিন্ডিকেটের ৯৯তম জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের পাবলিক রিলেশনস অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহেদুজ্জামান শেখ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কুয়েট সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে।

এদিকে, কুয়েট শিক্ষকদের প্রতিবাদের মুখে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনে তালা না দিয়ে ফিরে গেছে শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সোমবার রাতে তালা ভেঙে বাসভবনে প্রবেশ করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাছুদ। এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে ভিসির বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে বাসভবনে বৈঠক করছিলেন। বেলা ১২টার দিকে ১৮-২০ জন শিক্ষার্থী ভিসির বাসভবনের সামনে এসে ভেতরে কেউ থাকলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে আসতে মাইকে ঘোষণা দেন। পরে শিক্ষকরা বেরিয়ে উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ জানান। এ সময় প্রায় আধাঘণ্টা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষকরা। তখন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনে তালা না দিয়ে ফিরে যায়।

কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮তম সিন্ডিকেট সভায় ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। মঙ্গলবার ছিল প্রতিবেদন দাখিলের শেষ দিন। তবে, কমিটিকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য আরো ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। কমিটির সভাপতি এবং কুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. এম. এম. এ. হাসেমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সময় বৃদ্ধি করা হয়।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদলের লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা প্রথমে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৫ দফা দাবি ঘোষণা করে। পরে উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৬ দফার আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দেয়।

সবুজদেশ/এসইউ

অনির্দিষ্টকালের জন্য কুয়েট বন্ধ ঘোষণা

Update Time : ০৮:৫০:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সিন্ডিকেটের ৯৯তম জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের পাবলিক রিলেশনস অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহেদুজ্জামান শেখ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কুয়েট সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে।

এদিকে, কুয়েট শিক্ষকদের প্রতিবাদের মুখে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনে তালা না দিয়ে ফিরে গেছে শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সোমবার রাতে তালা ভেঙে বাসভবনে প্রবেশ করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাছুদ। এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে ভিসির বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে বাসভবনে বৈঠক করছিলেন। বেলা ১২টার দিকে ১৮-২০ জন শিক্ষার্থী ভিসির বাসভবনের সামনে এসে ভেতরে কেউ থাকলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে আসতে মাইকে ঘোষণা দেন। পরে শিক্ষকরা বেরিয়ে উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ জানান। এ সময় প্রায় আধাঘণ্টা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষকরা। তখন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনে তালা না দিয়ে ফিরে যায়।

কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮তম সিন্ডিকেট সভায় ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। মঙ্গলবার ছিল প্রতিবেদন দাখিলের শেষ দিন। তবে, কমিটিকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য আরো ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। কমিটির সভাপতি এবং কুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. এম. এম. এ. হাসেমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সময় বৃদ্ধি করা হয়।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদলের লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা প্রথমে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৫ দফা দাবি ঘোষণা করে। পরে উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৬ দফার আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দেয়।

সবুজদেশ/এসইউ