ঢাকা ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে কৃষকের ড্রাগন ও পেয়ারা বাগান কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

 

ঝিনাইদহের মহেশপুরে পুর্ব শত্রুতার জেরে দুই কৃষকের প্রায় ৩ হাজার ড্রাগন ও ৭’শ পেয়ারা গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ক্ষতিগ্রস্থ দুই কৃষকের নাম রকি আহমেদ ও রিঙ্কু মিয়া। তারা উপজেলার নাটিমা ইউনিয়নের বামনগাছি গ্রামের বাসিন্দা।

সোমবার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতের আধাঁরে বামনগাছি গ্রামের মাঠে এমন ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, ওই গ্রামের মাঠে কৃষক রকি আহমেদ আগে দুই বিঘা জমিতে ডাগ্রন ফলের আবাদ করেছিলেন। এই বাগান থেকে আগে কিছু ড্রাগন ফল বিক্রিও করেছেন তিনি। সোমবার রাতের আঁধারে ড্রাগন গাছগুলো গোড়া থেকে কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সকালে মাঠে গিয়ে গাছগুলো কাটা অবস্থায় দেখতে পান কৃষকরা।

এদিকে একই গ্রামের কৃষক রিঙ্কু মিয়ার আড়াই বিঘা জমির অন্তত ৭শ ধরন্ত পেয়ারা গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ওই কৃষক।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক রকি আহমেদ বলেন, কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানি না। ফসলের সঙ্গে কেন এমন শত্রুতা? কোনো মানুষ এমন ক্ষতি করতে পারে? আমি এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেব।

অপর কৃষক রিংকু মিয়া বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে কেউ এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। আমি দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।

মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, এ রকম ফসলহানির ঘটনা জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিচ্ছি। ঘটনার সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন, অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সবুজদেশ/এসইউ

ঝিনাইদহে কৃষকের ড্রাগন ও পেয়ারা বাগান কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

Update Time : ০৩:০৮:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

 

ঝিনাইদহের মহেশপুরে পুর্ব শত্রুতার জেরে দুই কৃষকের প্রায় ৩ হাজার ড্রাগন ও ৭’শ পেয়ারা গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ক্ষতিগ্রস্থ দুই কৃষকের নাম রকি আহমেদ ও রিঙ্কু মিয়া। তারা উপজেলার নাটিমা ইউনিয়নের বামনগাছি গ্রামের বাসিন্দা।

সোমবার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতের আধাঁরে বামনগাছি গ্রামের মাঠে এমন ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, ওই গ্রামের মাঠে কৃষক রকি আহমেদ আগে দুই বিঘা জমিতে ডাগ্রন ফলের আবাদ করেছিলেন। এই বাগান থেকে আগে কিছু ড্রাগন ফল বিক্রিও করেছেন তিনি। সোমবার রাতের আঁধারে ড্রাগন গাছগুলো গোড়া থেকে কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সকালে মাঠে গিয়ে গাছগুলো কাটা অবস্থায় দেখতে পান কৃষকরা।

এদিকে একই গ্রামের কৃষক রিঙ্কু মিয়ার আড়াই বিঘা জমির অন্তত ৭শ ধরন্ত পেয়ারা গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ওই কৃষক।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক রকি আহমেদ বলেন, কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানি না। ফসলের সঙ্গে কেন এমন শত্রুতা? কোনো মানুষ এমন ক্ষতি করতে পারে? আমি এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেব।

অপর কৃষক রিংকু মিয়া বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে কেউ এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। আমি দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।

মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, এ রকম ফসলহানির ঘটনা জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিচ্ছি। ঘটনার সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন, অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সবুজদেশ/এসইউ