ঢাকা ০১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় বিকাশ প্রতারণা: ধরা পড়ল দুই সদস্য

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৯:৪৯:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৩১ বার পড়া হয়েছে।

 

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করে দুই মাসে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এ ঘটনায় চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে নগদ অর্থ ও পাঁচটি মোবাইলফোনসহ তাদের আটক করা হয়, যখন তারা প্রতারণার মাধ্যমে উত্তোলন করা টাকা সংগ্রহ করছিল।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা।

গ্রেফতার দুই প্রতারক হলেন—চুয়াডাঙ্গার দর্শনার দক্ষিণ চাঁদপুর স্কুলপাড়ার তাইজুল ইসলামের ছেলে তাকবির ইসলাম রিয়াদ (৩০) এবং নাটোর জেলার লালপুর থানার মোহরকয়া হল্ট কয়লারডর গ্রামের মৃত জাবেদ সরদারের ছেলে স্বপন আলী হৃদয় (২৫)।

পুলিশ সুপার জানান, দর্শনার পুরাতন বাজারে অবস্থিত ‘দোয়েল মেডিকেল হল’ নামের একটি দোকানে আর্থিক লেনদেনের সময় প্রতারণার মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেন তাকবির ইসলাম রিয়াদ। বিষয়টি বুঝতে পেরে দর্শনা থানা পুলিশের একটি দল তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকবিরকে ২৫ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার করে।

পরে রিয়াদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বিশ্লেষণ করে চক্রের মূলহোতা স্বপন আলী হৃদয়ের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পুলিশের বিশেষ অভিযানে রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে দর্শনা আকন্দবাড়ীয়া রায়পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে স্বপন বিকাশ প্রতারণায় জড়িত থাকার কথা অকপটে স্বীকার করেন। তিনি প্রতারণার পদ্ধতি এবং এই চক্রে জড়িত অন্য সদস্যদের নামও প্রকাশ করেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, এই প্রতারক চক্রটি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। তাকবির ইসলাম রিয়াদ দর্শনা থানা এলাকার বিভিন্ন বিকাশ এজেন্ট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা ‘ক্যাশ আউট’ করতেন। এরপর নিজের অংশ রেখে অবশিষ্ট টাকা পাঠিয়ে দিতেন চক্রনেতা স্বপনের কাছে।

গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, তারা গত দুই মাসে অন্তত ৫০ লাখ টাকার প্রতারণামূলক লেনদেন করেছে বলে জানায় পুলিশ।

সবুজদেশ/এসইউ

সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফিরিয়ে দিল ভারত

চুয়াডাঙ্গায় বিকাশ প্রতারণা: ধরা পড়ল দুই সদস্য

Update Time : ০৯:৪৯:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

 

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করে দুই মাসে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এ ঘটনায় চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে নগদ অর্থ ও পাঁচটি মোবাইলফোনসহ তাদের আটক করা হয়, যখন তারা প্রতারণার মাধ্যমে উত্তোলন করা টাকা সংগ্রহ করছিল।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা।

গ্রেফতার দুই প্রতারক হলেন—চুয়াডাঙ্গার দর্শনার দক্ষিণ চাঁদপুর স্কুলপাড়ার তাইজুল ইসলামের ছেলে তাকবির ইসলাম রিয়াদ (৩০) এবং নাটোর জেলার লালপুর থানার মোহরকয়া হল্ট কয়লারডর গ্রামের মৃত জাবেদ সরদারের ছেলে স্বপন আলী হৃদয় (২৫)।

পুলিশ সুপার জানান, দর্শনার পুরাতন বাজারে অবস্থিত ‘দোয়েল মেডিকেল হল’ নামের একটি দোকানে আর্থিক লেনদেনের সময় প্রতারণার মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেন তাকবির ইসলাম রিয়াদ। বিষয়টি বুঝতে পেরে দর্শনা থানা পুলিশের একটি দল তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকবিরকে ২৫ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার করে।

পরে রিয়াদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বিশ্লেষণ করে চক্রের মূলহোতা স্বপন আলী হৃদয়ের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পুলিশের বিশেষ অভিযানে রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে দর্শনা আকন্দবাড়ীয়া রায়পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে স্বপন বিকাশ প্রতারণায় জড়িত থাকার কথা অকপটে স্বীকার করেন। তিনি প্রতারণার পদ্ধতি এবং এই চক্রে জড়িত অন্য সদস্যদের নামও প্রকাশ করেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, এই প্রতারক চক্রটি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। তাকবির ইসলাম রিয়াদ দর্শনা থানা এলাকার বিভিন্ন বিকাশ এজেন্ট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা ‘ক্যাশ আউট’ করতেন। এরপর নিজের অংশ রেখে অবশিষ্ট টাকা পাঠিয়ে দিতেন চক্রনেতা স্বপনের কাছে।

গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, তারা গত দুই মাসে অন্তত ৫০ লাখ টাকার প্রতারণামূলক লেনদেন করেছে বলে জানায় পুলিশ।

সবুজদেশ/এসইউ