ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় পুলিশের অভিযানে আ’লীগের একাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ১০:৩০:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে।

 

খুলনার ৪টি স্থানে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। মহানগরীর পাশাপাশি খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায়ও অভিযান চলছে।

এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। সোমবার সকাল ৭টা পর্যন্ত গ্রেপ্তারের সঠিক তথ্য দিতে পারেনি পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জিরোপয়েন্ট এলাকা মিছিলের ঘটনায় ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে হরিণটানা থানা পুলিশ। ফুলতলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলমকে গ্রেপ্তার করেছে ফুলতলা থানা পুলিশ । শিরোমনিতে মিছিলের প্রস্তুতিকালে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী জাকারিয়া রিপনকে আটক করা হয়।

এছাড়া সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ নুর ইসলাম, ১৭ নং ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি মোঃ আসিফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান , ১৬নং ওয়ার্ড গাবতলা ইউনিট আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আবুজার অনিক, যুবলীগের সদস্য মোঃ রকিবুল ইসলাম , ১৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ মেহেদী হাসান এবং যুবলীগ সদস্য রুহুল আমিনকে আটক করেছে।

সোনাডাঙ্গা থানার এস আই আব্দুল হাই বলেন, রোববার বিকেল ঝটিকা মিছিলের চেষ্টাকালে বিকেলে নগরীর বয়রা মহিলা কলেজের সামনে থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী মো. ওয়ালিদ হাসান ইমনকে আটক করে পুলিশ। পরে সন্ধ্যার পর সোনাডাঙ্গা মডেল থানা এলাকার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়।

খুলনা সদর থানার এস আই নান্নু মন্ডল বলেন,  সদর থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আ. রশিদের হাওলাদারের ছেলে মহারাজ হাওলাদার (৫৭), মোজাম্মেল মীরের ছেলে মো. মিলন মীর (৪২) এবং টুটপাড়া মেইন রোড এলাকার মোহাম্মদ হানেফের ছেলে মো. ফরিদ আহম্মেদ (৬৩)কে আটক করা হয়েছে।

হরিণটানা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ খায়রুল বাসার জানান, সকালে হরিণটানা থানা এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের হয়। এলাকার সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় বিকেলে ডুমুরিয়া আওয়ামীলীগ নেতা কাজি আলমগীরকে জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।

খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, খালিশপুর থানায় এলাকায় আওয়ামীলীগ এবং তার সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। এ সময়ে ৪ জনকে আটক করা হয়।

রোববার রাতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া এন্ড সিপি) মোহাঃ আহসান হাবীব জানান, ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের ২৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ

খুলনায় পুলিশের অভিযানে আ’লীগের একাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

Update Time : ১০:৩০:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

 

খুলনার ৪টি স্থানে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। মহানগরীর পাশাপাশি খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায়ও অভিযান চলছে।

এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। সোমবার সকাল ৭টা পর্যন্ত গ্রেপ্তারের সঠিক তথ্য দিতে পারেনি পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জিরোপয়েন্ট এলাকা মিছিলের ঘটনায় ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে হরিণটানা থানা পুলিশ। ফুলতলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলমকে গ্রেপ্তার করেছে ফুলতলা থানা পুলিশ । শিরোমনিতে মিছিলের প্রস্তুতিকালে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী জাকারিয়া রিপনকে আটক করা হয়।

এছাড়া সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ নুর ইসলাম, ১৭ নং ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি মোঃ আসিফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান , ১৬নং ওয়ার্ড গাবতলা ইউনিট আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আবুজার অনিক, যুবলীগের সদস্য মোঃ রকিবুল ইসলাম , ১৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ মেহেদী হাসান এবং যুবলীগ সদস্য রুহুল আমিনকে আটক করেছে।

সোনাডাঙ্গা থানার এস আই আব্দুল হাই বলেন, রোববার বিকেল ঝটিকা মিছিলের চেষ্টাকালে বিকেলে নগরীর বয়রা মহিলা কলেজের সামনে থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী মো. ওয়ালিদ হাসান ইমনকে আটক করে পুলিশ। পরে সন্ধ্যার পর সোনাডাঙ্গা মডেল থানা এলাকার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়।

খুলনা সদর থানার এস আই নান্নু মন্ডল বলেন,  সদর থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আ. রশিদের হাওলাদারের ছেলে মহারাজ হাওলাদার (৫৭), মোজাম্মেল মীরের ছেলে মো. মিলন মীর (৪২) এবং টুটপাড়া মেইন রোড এলাকার মোহাম্মদ হানেফের ছেলে মো. ফরিদ আহম্মেদ (৬৩)কে আটক করা হয়েছে।

হরিণটানা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ খায়রুল বাসার জানান, সকালে হরিণটানা থানা এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের হয়। এলাকার সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় বিকেলে ডুমুরিয়া আওয়ামীলীগ নেতা কাজি আলমগীরকে জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।

খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, খালিশপুর থানায় এলাকায় আওয়ামীলীগ এবং তার সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। এ সময়ে ৪ জনকে আটক করা হয়।

রোববার রাতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া এন্ড সিপি) মোহাঃ আহসান হাবীব জানান, ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের ২৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ