খেলার সময় নলকূপের পানির সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ৬ শিশু। আহত শিশুরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কাচারীতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টার পরে আক্রান্ত শিশুদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে ভর্তি শিশুরা হলো- কাচারীতলা গ্রামের কামিরুল শাহের ছেলে হোসাইন শাহ (৪), সাইফুল শাহের মেয়ে মরিয়ম (৭), সাগর খার ছেলে আব্দুল্লাহ (৩), হাসান মণ্ডলের মেয়ে জান্নাতুল (৯), রতন শাহের ছেলে রোকেয়া (৯) ও মারুফ শাহে ছেলে মার্ফিয়া (৬)। তাদের শারীরিক অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
শিশুদের স্বজনরা জানান, কাচারীতলা গ্রামের রমজান মণ্ডল সোমবার দুপুরের পর ঘাস নিধনের কীটনাশক জমিতে ছিটিয়ে বোতল ফেলে দিয়ে পাশের আম বাগানে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। পরে বিকেলে কয়েকজন শিশু খেলার সময় না বুঝে অসতর্কতা বশত বোতলের কীটনাশক রাস্তার পাশের নলকূপের ভেতরে পানিতে মিশিয়ে দেয়। পরে তারা ওই পানি পান করে।
এরপর সন্ধ্যার দিকে কামিরুল শাহের ছেলে হোসাইনের পেটে ব্যথা শুরু হয়। তখন ওই শিশুর সঙ্গে কথা বলে নলকূপের ধারে গিয়ে কীটনাশকের বোতল পান অভিভাবকরা। পরে শিশুটিকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রাত ৯ টার পরে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে রাতেই কীটনাশক মেশানো পানি পান করা অপর পাঁচ শিশুর পেটে ও গলা ব্যথা, বমি শুরু শুরু হয়। রাতেই তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শিশু হোসাইন এর মা মমতাজ খাতুন বলেন, ছেলের পেট ব্যথা শুরু হলে হরিনাকুন্ডু হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে ডাক্তার সদর হাসপাতালে পাঠান। সদর হাসপাতালে ওয়াশ করে বিষ বের করা হয়েছে।
অপর এক আহত শিশুর বাবা মারুফ শাহ বলেন, মেয়েটার হঠাৎ করেই সন্ধ্যার পর পেটে ও গলায় ব্যথা শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পর বমি করতে থাকে। তখনই সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখন মেয়েটা একটু স্বুস্থ আছে।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মেহেদী ইসলাম টিটু বলেন, শিশুরা বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এসেছে। তাদের শারীরিক অবস্থা শঙ্কামুক্ত মনে হচ্ছে। অধিকতর পর্যবেক্ষণের জন্য শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ রউফ খান বলেন, ঘটনাটি শোনার পর গ্রামটিতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অসাবধানতাবশত খেলার ছলে শিশুরা নলকূপের পানির সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিষয়টি শত্রুতামূলক কোনো কিছু না। কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগও কেউ করেনি।
সবুজদেশ/এসইউ