ঢাকা ০৭:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজা দখলে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরায়েল

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ১০:৫৩:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে।

ছবি সংগৃহীত-

 

ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজার ওপর আরও বড় পরিসরে সামরিক অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পরিকল্পনার আওতায় গাজার কিছু অংশ দখল করে তা দীর্ঘমেয়াদে নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা বলা হয়েছে।

পাশাপাশি গাজার ২১ লাখ বাসিন্দাকে দক্ষিণ দিকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে তাদের ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত’ করা যায়।

রবিবার (৪মে) রাতে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল এয়াল জামিরের প্রস্তাবিত পরিকল্পনাটিকে সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ সিদ্ধান্তকে ‘হামাসকে ধ্বংস ও জিম্মিদের মুক্তির লক্ষ্যে জোরালো পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেন।

নেতানিয়াহু বলেন, আমাদের সেনারা গাজায় ঢুকে বেরিয়ে আসবে না—তারা থাকবে। তবে ঠিক কতটা এলাকা দখল করা হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।

এদিকে, মন্ত্রিসভা একটি বিতর্কিত সহায়তা সরবরাহ পরিকল্পনাও অনুমোদন করেছে। এর আওতায় বেসরকারি কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে গাজায় ত্রাণ পৌঁছানো হবে। এটি কার্যকর হলে যদিও দুই মাস ধরে চলা অবরোধের অবসান ঘটবে; তবে জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবিক সংস্থাগুলো এই পরিকল্পনার কড়া সমালোচনা করেছে। তারা বলেছে, এটি আন্তর্জাতিক মানবিক নীতিমালার পরিপন্থী এবং এ ধরনের ত্রাণ বিতরণে তারা অংশ নেবে না।

জাতিসংঘ আরও বলছে, ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজায় খাদ্য সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।

হামাসের পক্ষ থেকেও এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করা হয়েছে। সংগঠনটির এক শীর্ষ নেতা একে ‘ইসরায়েলের চাপ ও ব্ল্যাকমেইল’ হিসেবে উল্লেখ করে জানান, তারা এমন কোনো শর্তে রাজি নয়।

যুদ্ধবিরতির শর্তে হামাসের সঙ্গে দ্বিমত দেখা দিলে গত ১৮ মার্চ থেকে আবারো গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের দাবি, এই নতুন পদক্ষেপের লক্ষ্য হামাসকে পরাজিত করা এবং এখনও জিম্মি থাকা ইসরায়েলিদের ফিরিয়ে আনা।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের এই পরিকল্পনার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে বলেন, তিনি ফিলিস্তিনিদের জন্য খাদ্য সহায়তা পাঠাতে সহায়তা করবেন।

ইসরায়েলের এক শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই পরিকল্পনার বাস্তবায়নে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর (১৩–১৬ মে) শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। তিনি বলেন, এর ফলে হামাসের সামনে একটি ‘সমঝোতার জানালা’ খোলা থাবে, যাতে তারা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির একটি চুক্তিতে সম্মত হতে পারে।

প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের এই সফরে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতার যাওয়ার কথা রয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

গাজা দখলে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরায়েল

Update Time : ১০:৫৩:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

 

ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজার ওপর আরও বড় পরিসরে সামরিক অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পরিকল্পনার আওতায় গাজার কিছু অংশ দখল করে তা দীর্ঘমেয়াদে নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা বলা হয়েছে।

পাশাপাশি গাজার ২১ লাখ বাসিন্দাকে দক্ষিণ দিকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে তাদের ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত’ করা যায়।

রবিবার (৪মে) রাতে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল এয়াল জামিরের প্রস্তাবিত পরিকল্পনাটিকে সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ সিদ্ধান্তকে ‘হামাসকে ধ্বংস ও জিম্মিদের মুক্তির লক্ষ্যে জোরালো পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেন।

নেতানিয়াহু বলেন, আমাদের সেনারা গাজায় ঢুকে বেরিয়ে আসবে না—তারা থাকবে। তবে ঠিক কতটা এলাকা দখল করা হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।

এদিকে, মন্ত্রিসভা একটি বিতর্কিত সহায়তা সরবরাহ পরিকল্পনাও অনুমোদন করেছে। এর আওতায় বেসরকারি কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে গাজায় ত্রাণ পৌঁছানো হবে। এটি কার্যকর হলে যদিও দুই মাস ধরে চলা অবরোধের অবসান ঘটবে; তবে জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবিক সংস্থাগুলো এই পরিকল্পনার কড়া সমালোচনা করেছে। তারা বলেছে, এটি আন্তর্জাতিক মানবিক নীতিমালার পরিপন্থী এবং এ ধরনের ত্রাণ বিতরণে তারা অংশ নেবে না।

জাতিসংঘ আরও বলছে, ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজায় খাদ্য সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।

হামাসের পক্ষ থেকেও এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করা হয়েছে। সংগঠনটির এক শীর্ষ নেতা একে ‘ইসরায়েলের চাপ ও ব্ল্যাকমেইল’ হিসেবে উল্লেখ করে জানান, তারা এমন কোনো শর্তে রাজি নয়।

যুদ্ধবিরতির শর্তে হামাসের সঙ্গে দ্বিমত দেখা দিলে গত ১৮ মার্চ থেকে আবারো গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের দাবি, এই নতুন পদক্ষেপের লক্ষ্য হামাসকে পরাজিত করা এবং এখনও জিম্মি থাকা ইসরায়েলিদের ফিরিয়ে আনা।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের এই পরিকল্পনার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে বলেন, তিনি ফিলিস্তিনিদের জন্য খাদ্য সহায়তা পাঠাতে সহায়তা করবেন।

ইসরায়েলের এক শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই পরিকল্পনার বাস্তবায়নে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর (১৩–১৬ মে) শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। তিনি বলেন, এর ফলে হামাসের সামনে একটি ‘সমঝোতার জানালা’ খোলা থাবে, যাতে তারা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির একটি চুক্তিতে সম্মত হতে পারে।

প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের এই সফরে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতার যাওয়ার কথা রয়েছে।

সূত্র: বিবিসি