ঢাকা ০৩:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোসল করতে নেমে প্রাণ গেল কুয়েট শিক্ষার্থীর

 

পুকুরে গোসল করতে নেমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থী শান্তনু কর্মকারের মৃত্যু হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে কুয়েট ক্যাম্পাসের পুকুরে গোসল করতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আবুল বাসার মোহাম্মাদ আতিকুর রহমান।

মৃত শিক্ষার্থী শান্তনু পুরান ঢাকার রাজার দেওয়াড়ি এলাকার বাসিন্দা সুকুমার চন্দ্র কর্মকারের ছেলে এবং কুয়েটের ২৩ ব্যাচের ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী (রোল: ২৩১৭০৪৪)।

ডুবে যাওয়া শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা ফায়ার সার্ভিসের খুলনা সদর স্টেশনের ফায়ারম্যান বলেন, ‘আমরা তিনটার দিকে খবর পাই যে কুয়েটে একজন ব্যক্তি ডুবে গেছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এসে দেখি, শিক্ষার্থীসহ অনেক লোকের সমাগম। আমরা পানিতে নেমে সর্বোচ্চ ৩ মিনিটের মধ্যে তার মরদেহ সনাক্ত করে উদ্ধার করি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, ‘পুকুরে ডুবে যাওয়া শিক্ষার্থীকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন জানান, ‘দুপুর ৩টার দিকে কুয়েটের শিক্ষার্থী শান্তনু গোসল করতে পুকুরে নামে। কিছু সময় পরে ফেরত আসতে দেরি হওয়ায় সহপাঠিরা পুকুরের চারপাশে খোঁজ নিতে থাকে। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে তারা ৪টার দিকে তাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে তার মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।’

সবুজদেশ/এসইউ

গোসল করতে নেমে প্রাণ গেল কুয়েট শিক্ষার্থীর

Update Time : ০৭:৪১:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

 

পুকুরে গোসল করতে নেমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থী শান্তনু কর্মকারের মৃত্যু হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে কুয়েট ক্যাম্পাসের পুকুরে গোসল করতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আবুল বাসার মোহাম্মাদ আতিকুর রহমান।

মৃত শিক্ষার্থী শান্তনু পুরান ঢাকার রাজার দেওয়াড়ি এলাকার বাসিন্দা সুকুমার চন্দ্র কর্মকারের ছেলে এবং কুয়েটের ২৩ ব্যাচের ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী (রোল: ২৩১৭০৪৪)।

ডুবে যাওয়া শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা ফায়ার সার্ভিসের খুলনা সদর স্টেশনের ফায়ারম্যান বলেন, ‘আমরা তিনটার দিকে খবর পাই যে কুয়েটে একজন ব্যক্তি ডুবে গেছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এসে দেখি, শিক্ষার্থীসহ অনেক লোকের সমাগম। আমরা পানিতে নেমে সর্বোচ্চ ৩ মিনিটের মধ্যে তার মরদেহ সনাক্ত করে উদ্ধার করি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, ‘পুকুরে ডুবে যাওয়া শিক্ষার্থীকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন জানান, ‘দুপুর ৩টার দিকে কুয়েটের শিক্ষার্থী শান্তনু গোসল করতে পুকুরে নামে। কিছু সময় পরে ফেরত আসতে দেরি হওয়ায় সহপাঠিরা পুকুরের চারপাশে খোঁজ নিতে থাকে। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে তারা ৪টার দিকে তাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে তার মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।’

সবুজদেশ/এসইউ