ঢাকা ০৬:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে খুলনা

ফাইল ছবি-

 

তাপদাহে পুড়ছে খুলনার জনপদ। গত কয়েকদিনের তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। অস্বস্তিতে পড়েছে প্রাণীকূল। রোদের তাপ আর ভ্যাপসা গরমে কৃষক, দিনমজুর, দোকানদার, ঠেলা-ভ্যান-রিকশা চালকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অস্থির হয়ে পড়ছেন। এ অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন, আজ রোববার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও খুলনায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া যশোরে ৪০ দশমিক একর ডিগ্রি, সাতক্ষীরায় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি ও মোংলায় ৩৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে, তীব্র তাপপ্রবাহে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা অস্থির হয়ে পড়েছেন।

নগরীর খালিশপুর বঙ্গবাসী স্কুল মোড় এলাকার ফার্নিচার ব্যবসায়ী শাকিল আহমেদ বলেন, অসহ্য গরম। এই গরমে কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। গরমের কারণে ক্রেতাও কম। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছে না।

প্রচন্ড গরমে নাজেহাল হতে হচ্ছে স্কুল-মাদ্রাসা, কলেজগামী শিক্ষার্থীদেরও। মাদরাসা শিক্ষার্থী তাসনিম বলেন, বাহিরে প্রচন্ড রোদ। রোদের তাপে হাটা মুশকিল। ছাতা নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

শিববাড়ি মোড়ে থাকা রিকসা চালক শরিফুল ইসলাম বলেন, গরমে যাত্রী কম। ছাতাবিহীন রিকসা চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এক টিপ মেরে গাছ বা বিল্ডিংয়ে নিচে ছায়ায় বিশ্রাম নিতে হচ্ছে।

খুলনার গগন বাবু রোডের বাসিন্দা খাদিজা আলম বলেন, গরম এলেই জীবনটা একটু বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। একদিকে গ্রীষ্মের শুরু হতে না হতেই বৈশাখের তাপদাহ, অন্যদিকে লোডশেডিং এর কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। আবার কয়েকদিন ধরে চলছে গরমের হিট ওয়েব ।সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুরু গরম ঘাম আর রোদের তেজ। মনে হয় সূর্য আমাদের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে। মানুষ এখন বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছে। খুব বেশি দরকার না পড়লে মানুষ এখন বের হচ্ছে না, কর্ম দিবসে ও রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা।

তিনি বলেন, খাল, বিল ,নদী ,নালার পানি ও তীব্র গরম। এই গরমে প্রাণীজগতের পশু-পাখিদের কষ্টের সীমা নেই। বৈশাখের শুরু হতে না হতেই তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ সহ অবলা জীবজন্তু।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন, খুলনা অঞ্চলে সোমবার থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে।

সবুজদেশ/এসইউ

৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে খুলনা

Update Time : ০৭:২০:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

 

তাপদাহে পুড়ছে খুলনার জনপদ। গত কয়েকদিনের তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। অস্বস্তিতে পড়েছে প্রাণীকূল। রোদের তাপ আর ভ্যাপসা গরমে কৃষক, দিনমজুর, দোকানদার, ঠেলা-ভ্যান-রিকশা চালকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অস্থির হয়ে পড়ছেন। এ অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন, আজ রোববার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও খুলনায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া যশোরে ৪০ দশমিক একর ডিগ্রি, সাতক্ষীরায় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি ও মোংলায় ৩৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে, তীব্র তাপপ্রবাহে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা অস্থির হয়ে পড়েছেন।

নগরীর খালিশপুর বঙ্গবাসী স্কুল মোড় এলাকার ফার্নিচার ব্যবসায়ী শাকিল আহমেদ বলেন, অসহ্য গরম। এই গরমে কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। গরমের কারণে ক্রেতাও কম। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছে না।

প্রচন্ড গরমে নাজেহাল হতে হচ্ছে স্কুল-মাদ্রাসা, কলেজগামী শিক্ষার্থীদেরও। মাদরাসা শিক্ষার্থী তাসনিম বলেন, বাহিরে প্রচন্ড রোদ। রোদের তাপে হাটা মুশকিল। ছাতা নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

শিববাড়ি মোড়ে থাকা রিকসা চালক শরিফুল ইসলাম বলেন, গরমে যাত্রী কম। ছাতাবিহীন রিকসা চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এক টিপ মেরে গাছ বা বিল্ডিংয়ে নিচে ছায়ায় বিশ্রাম নিতে হচ্ছে।

খুলনার গগন বাবু রোডের বাসিন্দা খাদিজা আলম বলেন, গরম এলেই জীবনটা একটু বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। একদিকে গ্রীষ্মের শুরু হতে না হতেই বৈশাখের তাপদাহ, অন্যদিকে লোডশেডিং এর কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। আবার কয়েকদিন ধরে চলছে গরমের হিট ওয়েব ।সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুরু গরম ঘাম আর রোদের তেজ। মনে হয় সূর্য আমাদের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে। মানুষ এখন বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছে। খুব বেশি দরকার না পড়লে মানুষ এখন বের হচ্ছে না, কর্ম দিবসে ও রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা।

তিনি বলেন, খাল, বিল ,নদী ,নালার পানি ও তীব্র গরম। এই গরমে প্রাণীজগতের পশু-পাখিদের কষ্টের সীমা নেই। বৈশাখের শুরু হতে না হতেই তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ সহ অবলা জীবজন্তু।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন, খুলনা অঞ্চলে সোমবার থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে।

সবুজদেশ/এসইউ