ঢাকা ০৯:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত ফেরত ৭৮ বাংলাদেশিকে হস্তান্তরের পর নেওয়া হচ্ছে শ্যামনগর থানায়

 

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন মান্দারবাড়িয়া চরে ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক পুশইন করা ৭৮ জনকে শনিবার (১০ মে) রাত ১১টায় কোস্টগার্ডের নিকট হস্তান্তর করে বন বিভাগ। গহীন সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া কাকা-দোবেকী কোস্টগার্ডের ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়।

সেখান থেকে রোববার (১১ মে) সকালে তাদেরকে মোংলা কোস্টগার্ড অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। আইনি পদক্ষেপের জন্য তাদেরকে মোংলা কোস্টগার্ড অফিস থেকে সাতক্ষীরা শ্যামনগর থানায় পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, ভারত থেকে পুশ ইন করা ৭৮ জনের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের কয়েকজনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। একজনের হাত ভেঙে গেছে। খাবার, স্যালাইন ও পানি খাওয়ার পর তারা কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক হাবিবুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে পাঠানো ৭৮ জন নাগরিক কয়েক দিন না খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শনিবার রাতে বন বিভাগের মান্দারবাড়িয়া ক্যাম্প থেকে তাদেরকে কোস্টগার্ডের কাকা-দোবেকী ক্যাম্পের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার আতিকুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে রোববার সকালে তাদের মোংলা কোস্টগার্ড অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মোংলা কোস্টগার্ডের মিডিয়া বিভাগের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে কল করলে কোনো তথ্য দিতে অপারগতা জানিয়ে বলা হয়, রোববার (১১ মে) সন্ধ্যায় মোংলা থেকে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপের জন্য তাদেরকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় পাঠানো হয়েছে। তাদের অধিকাংশের বাড়ি নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, তারা বিভিন্ন সময়ে কাজের জন্য ভারতে যান। ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে দেশটির পুলিশ তাদের সপ্তাহখানেক আগে আটক করে। গত শুক্রবার ভোরে মোট তিন দফায় এসব লোকদেরকে ভারতীয় বিএসএফ ও কোস্ট গার্ড বাংলাদেশ সীমান্তে সাগরের চরে ফেলে রেখে যায়। পরবর্তীতে তারা পায়ে হেঁটে নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া টহল ফাঁড়িতে পৌঁছায়।

মান্দারবাড়িয়া টহল ফাঁড়ির ওসি মোবারক হোসেন জানান, তার ফাঁড়িতে তিন দফায় মোট ৭৮ জন মানুষ আশ্রয় নেয়। শুরুতে ৩২জন এলেও পরবর্তীতে আরও দুই দফায় ৪৬ জন মানুষ পায়ে হেঁটে তার ফাঁড়িতে এসে পৌঁছায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক সহ বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয় । পরে শনিবার রাতে তাদেরকে কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তাদের ৭৮ জনকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় পাঠানো হচ্ছে।

সবুজদেশ/এসইউ

ভারত ফেরত ৭৮ বাংলাদেশিকে হস্তান্তরের পর নেওয়া হচ্ছে শ্যামনগর থানায়

Update Time : ০৯:০৬:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

 

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন মান্দারবাড়িয়া চরে ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক পুশইন করা ৭৮ জনকে শনিবার (১০ মে) রাত ১১টায় কোস্টগার্ডের নিকট হস্তান্তর করে বন বিভাগ। গহীন সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া কাকা-দোবেকী কোস্টগার্ডের ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়।

সেখান থেকে রোববার (১১ মে) সকালে তাদেরকে মোংলা কোস্টগার্ড অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। আইনি পদক্ষেপের জন্য তাদেরকে মোংলা কোস্টগার্ড অফিস থেকে সাতক্ষীরা শ্যামনগর থানায় পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, ভারত থেকে পুশ ইন করা ৭৮ জনের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের কয়েকজনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। একজনের হাত ভেঙে গেছে। খাবার, স্যালাইন ও পানি খাওয়ার পর তারা কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক হাবিবুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে পাঠানো ৭৮ জন নাগরিক কয়েক দিন না খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শনিবার রাতে বন বিভাগের মান্দারবাড়িয়া ক্যাম্প থেকে তাদেরকে কোস্টগার্ডের কাকা-দোবেকী ক্যাম্পের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার আতিকুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে রোববার সকালে তাদের মোংলা কোস্টগার্ড অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মোংলা কোস্টগার্ডের মিডিয়া বিভাগের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে কল করলে কোনো তথ্য দিতে অপারগতা জানিয়ে বলা হয়, রোববার (১১ মে) সন্ধ্যায় মোংলা থেকে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপের জন্য তাদেরকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় পাঠানো হয়েছে। তাদের অধিকাংশের বাড়ি নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, তারা বিভিন্ন সময়ে কাজের জন্য ভারতে যান। ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে দেশটির পুলিশ তাদের সপ্তাহখানেক আগে আটক করে। গত শুক্রবার ভোরে মোট তিন দফায় এসব লোকদেরকে ভারতীয় বিএসএফ ও কোস্ট গার্ড বাংলাদেশ সীমান্তে সাগরের চরে ফেলে রেখে যায়। পরবর্তীতে তারা পায়ে হেঁটে নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া টহল ফাঁড়িতে পৌঁছায়।

মান্দারবাড়িয়া টহল ফাঁড়ির ওসি মোবারক হোসেন জানান, তার ফাঁড়িতে তিন দফায় মোট ৭৮ জন মানুষ আশ্রয় নেয়। শুরুতে ৩২জন এলেও পরবর্তীতে আরও দুই দফায় ৪৬ জন মানুষ পায়ে হেঁটে তার ফাঁড়িতে এসে পৌঁছায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক সহ বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয় । পরে শনিবার রাতে তাদেরকে কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তাদের ৭৮ জনকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় পাঠানো হচ্ছে।

সবুজদেশ/এসইউ