ঢাকা ০২:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে কুড়িয়ে পাওয়া বোমার বিস্ফোরণে আহত খাদিজার মৃত্যু

ফাইল ছবি-

 

যশোরের শংকরপুরে কুড়িয়ে পাওয়া বোমা বিস্ফোরণে আহত পাঁচ বছরের শিশু খাদিজার মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে সোমবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। হৃদয়বিদারক এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারসহ গোটা এলাকায়। এ ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে প্রশ্ন উঠেছে ককটেল কী আসলেই মাঠে পাওয়া গেছে, নাকি ঘরে ছিল। তা নিয়ে এলাকায় ধ্রুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।

খাদিজা শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার মৃত সুজনের মেয়ে। সকাল ৮টার দিকে ছোটনের মোড়ের পাশের খেলার মাঠে পড়ে থাকা একটি ককটেলকে টেনিস বল ভেবে কুড়িয়ে আনে সে। পরে ওই ‘বল’ দিয়ে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণে আহত হয় খাদিজা, ছয় বছরের সজিব ও তিন বছরের আয়েশা। দ্রুত তিনজনকেই যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে স্থানীয় অপর একটি সূত্র জানায়, খাদিজার বাবা সুজন মারা যাওয়ার পর ছোট ভাই শাহাদাতের সাথে ওই শিশুর মায়ের বিয়ে হয়। শাহাদাত পেশায় রিকসা চালক। সোমবার সকাল আটটার সময় ঘরের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে। শাহাদাত সন্ত্রাসী মুসার সহযোগী। খেলা করার সময় একসাথে একাধিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। ওই পক্ষের দাবি শাহাদাত ওই বোমা গোপনে ঘরের মধ্যে রেখে দেয়। যদিও বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খাদিজার মাথা ও মুখমণ্ডলে গুরুতর আঘাত লাগে। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়। কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়।

খাদিজার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, গুরুতর আহত শিশুটি ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম কাজ করছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, মাঠে ককটেলটি কিভাবে এলো, তা খুঁজে বের করতে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ, স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ

যশোরে কুড়িয়ে পাওয়া বোমার বিস্ফোরণে আহত খাদিজার মৃত্যু

Update Time : ০২:৩৯:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

 

যশোরের শংকরপুরে কুড়িয়ে পাওয়া বোমা বিস্ফোরণে আহত পাঁচ বছরের শিশু খাদিজার মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে সোমবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। হৃদয়বিদারক এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারসহ গোটা এলাকায়। এ ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে প্রশ্ন উঠেছে ককটেল কী আসলেই মাঠে পাওয়া গেছে, নাকি ঘরে ছিল। তা নিয়ে এলাকায় ধ্রুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।

খাদিজা শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার মৃত সুজনের মেয়ে। সকাল ৮টার দিকে ছোটনের মোড়ের পাশের খেলার মাঠে পড়ে থাকা একটি ককটেলকে টেনিস বল ভেবে কুড়িয়ে আনে সে। পরে ওই ‘বল’ দিয়ে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণে আহত হয় খাদিজা, ছয় বছরের সজিব ও তিন বছরের আয়েশা। দ্রুত তিনজনকেই যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে স্থানীয় অপর একটি সূত্র জানায়, খাদিজার বাবা সুজন মারা যাওয়ার পর ছোট ভাই শাহাদাতের সাথে ওই শিশুর মায়ের বিয়ে হয়। শাহাদাত পেশায় রিকসা চালক। সোমবার সকাল আটটার সময় ঘরের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে। শাহাদাত সন্ত্রাসী মুসার সহযোগী। খেলা করার সময় একসাথে একাধিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। ওই পক্ষের দাবি শাহাদাত ওই বোমা গোপনে ঘরের মধ্যে রেখে দেয়। যদিও বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খাদিজার মাথা ও মুখমণ্ডলে গুরুতর আঘাত লাগে। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়। কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়।

খাদিজার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, গুরুতর আহত শিশুটি ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম কাজ করছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, মাঠে ককটেলটি কিভাবে এলো, তা খুঁজে বের করতে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ, স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ