ঢাকা ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাতক্ষীরায় ছাত্রদলের নেতৃত্বে আগ্রহী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা!

 

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কমিটিতে সভাপতি হিসেবে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাহ মো. আরাফাত হোসেনের নাম আলোচনায় রয়েছে—এমন গুঞ্জনে সংগঠনের অভ্যন্তরে তোলপাড় চলছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মী।

সূত্রে জানা গেছে, শাহ মো. আরাফাত হোসেন পূর্বে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের মিঠুন ব্যানার্জি ও আবু তাহের রাজ নেতৃত্বাধীন কমিটিতে সহ-সভাপতি (২য়) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। হঠাৎ করে তার ছাত্রদলের কমিটিতে সভাপতি হিসেবে আসার খবরে প্রশ্ন উঠেছে—একজন আদর্শিক প্রতিপক্ষ সংগঠনের সাবেক নেতাকে ছাত্রদলের নেতৃত্বে বসানো কতটা যৌক্তিক?

এ বিষয়ে ছাত্রদলের একাধিক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যারা দুঃসময়ে রাজপথে থেকে মামলা-হামলা মাথায় নিয়ে দলের পতাকা ধরে রেখেছেন, তাদের বাদ দিয়ে ছাত্রলীগ থেকে আসা একজনকে নেতৃত্বে আনা মানে দলের আদর্শে আঘাত হানা।

আরেকজন বলেন, ‘ছাত্রদল কি এখন ছাত্রলীগ নেতাদের পুনর্বাসনের কেন্দ্র হয়ে গেছে? দলের প্রতি দীর্ঘদিনের ত্যাগ-তিতিক্ষা তাহলে কোথায় গেল?’

তাদের দাবি, এ ধরনের সিদ্ধান্ত দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐতিহ্যের পরিপন্থী। তারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অনতিবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায়, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সংগঠনের স্বার্থে কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে আরাফাত হোসেন বলেন, ‘আমার নাম আরাফাত রহমান, হোসেন নয়। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। যার কথা বলা হচ্ছে, সে এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র এবং মিঠুন ব্যানার্জির কমিটিতে ছিল।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিজে সাতক্ষীরা ডে নাইট কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছি এবং সেখান থেকেই এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি। ছাত্রলীগের সরকারি কলেজ কমিটির যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তা এডিট করে আমার নাম বসানো হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে বিতর্কিত করতে এই মিথ্যাচার করা হয়েছে এবং সেই তালিকা বানানো হয়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ

সাতক্ষীরায় ছাত্রদলের নেতৃত্বে আগ্রহী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা!

Update Time : ০৫:৫৯:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

 

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কমিটিতে সভাপতি হিসেবে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাহ মো. আরাফাত হোসেনের নাম আলোচনায় রয়েছে—এমন গুঞ্জনে সংগঠনের অভ্যন্তরে তোলপাড় চলছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মী।

সূত্রে জানা গেছে, শাহ মো. আরাফাত হোসেন পূর্বে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের মিঠুন ব্যানার্জি ও আবু তাহের রাজ নেতৃত্বাধীন কমিটিতে সহ-সভাপতি (২য়) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। হঠাৎ করে তার ছাত্রদলের কমিটিতে সভাপতি হিসেবে আসার খবরে প্রশ্ন উঠেছে—একজন আদর্শিক প্রতিপক্ষ সংগঠনের সাবেক নেতাকে ছাত্রদলের নেতৃত্বে বসানো কতটা যৌক্তিক?

এ বিষয়ে ছাত্রদলের একাধিক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যারা দুঃসময়ে রাজপথে থেকে মামলা-হামলা মাথায় নিয়ে দলের পতাকা ধরে রেখেছেন, তাদের বাদ দিয়ে ছাত্রলীগ থেকে আসা একজনকে নেতৃত্বে আনা মানে দলের আদর্শে আঘাত হানা।

আরেকজন বলেন, ‘ছাত্রদল কি এখন ছাত্রলীগ নেতাদের পুনর্বাসনের কেন্দ্র হয়ে গেছে? দলের প্রতি দীর্ঘদিনের ত্যাগ-তিতিক্ষা তাহলে কোথায় গেল?’

তাদের দাবি, এ ধরনের সিদ্ধান্ত দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐতিহ্যের পরিপন্থী। তারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অনতিবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায়, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সংগঠনের স্বার্থে কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে আরাফাত হোসেন বলেন, ‘আমার নাম আরাফাত রহমান, হোসেন নয়। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। যার কথা বলা হচ্ছে, সে এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র এবং মিঠুন ব্যানার্জির কমিটিতে ছিল।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিজে সাতক্ষীরা ডে নাইট কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছি এবং সেখান থেকেই এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি। ছাত্রলীগের সরকারি কলেজ কমিটির যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তা এডিট করে আমার নাম বসানো হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে বিতর্কিত করতে এই মিথ্যাচার করা হয়েছে এবং সেই তালিকা বানানো হয়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ