সময়ের অভাব, নাস্তা বানিয়ে দেওয়ার মানুষ নেই, সকালে খেতে পারি না কিংবা ওজন কমানো ইত্যাদি বিভিন্ন অজুহাতে দিনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ খাবার ‘সকালের নাস্তা’ বাদ দিয়ে থাকলে নানান শারীরিক জটিলতায় পড়তে পারেন।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ‘প্রাতরাশ’ বাদ দেওয়ার পরিণাম সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হল।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি: সকালের নাস্তা না খাওয়ার কারণে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির গবেষণা অনুযায়ী, যেসব নারী সকালে নাস্তা করেন না, তাদের টাইপ টু ডায়বেটিস হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে ২০ শতাংশ। এর কারণ হল, সকালের নাস্তা বাদ দেওয়ার সঙ্গে শরীরের শর্করা সহ্যক্ষমতা কমে যাওয়া, প্রি-ডায়াবেটিস ও ডায়াবেটিস সম্পর্কযুক্ত।
ওজন বাড়ে: অনেকেই ওজন কমানোর জন্য একবেলা না খেয়ে থাকেন, আর বেশিরভাগ সময় সেই বেলাটা হয় সকাল। মজার বিষয় হল, এই সকালের নাস্তা বাদ দেওয়ার কারণেই তার ওজন কমে না, উল্টা বাড়ে। কারণ, সকালে না খেয়ে থাকার কারণে দুপুরবেলা ক্ষুধা বেশি লাগে। ফলে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলে। আর একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যারা সকালে নাস্তা খান, তারা স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে পারেন।
বিপাকীয় জটিলতা: সকালের নাস্তা না খাওয়ার কারণে বিপাক ক্রিয়ার হার কমে যায়। যে কোনো এক বেলার খাবার বাদ দিলে তা শরীরের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের ওপর বিরূপ প্র্রভাব ফেলে। বিপাক ক্রিয়ার গতি কমানোর মাধ্যমে ক্যালরির ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করে। তাই দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে তা শরীরের ক্যালরি পোড়ানোর ক্ষমতা কমাবে।
ক্ষুধার প্রভাব: দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকালে অল্পতেই রেগে যাওয়া, মেজাজ গরম থাকা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসকল পুরুষ নিয়মিত সকালে নাস্তা খান, তাদের মন-মেজাজ থাকে ফুরফুরে ও ইতিবাচক। আবার সকালের নাস্তা না করলে শরীরের শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে। ফলাফল হতে পারে অকারণ বিরক্তি, অবসাদ কিংবা মাথাব্যথা।
মুখে দুর্গন্ধ: একবেলা না খেয়ে থাকা সামাজিক জীবনের জন্যেও ক্ষতিকর হতে পারে। সকালের নাস্তা না খাওয়া বা অনেক্ষণ না খেয়ে থাকলে মুখে বাজে গন্ধ হতে পারে। এর কারণ হল, খাওয়ার মাধ্যমে মুখে লালারস তৈরির প্রক্রিয়া উজ্জীবিত হয়, যা জিহ্বা থেকে ব্যাকটেরিয়া পরিষ্কার করে। না খেয়ে থাকলে এই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে থাকে।