ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকার লেখক ও নাট্যশিল্পী প্রশান্ত কুমার হালদারের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শনিবার বিকেল ৩ টার দিকে কালীগঞ্জ থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন প্রশান্ত কুমার হালদার। এরপরই ওইদিনই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে রঘুনাথপুরের নাটাবাড়িয়া এলাকার হালদার বাড়িতে আগুন লাগে। এ সময় প্রতিবেশীরা আগুন দেখে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মঞ্জুর মোর্শেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম ও কালীগঞ্জ থানার তদন্ত ওসি মোফাজ্জেল হোসেনসহ অন্যান্যরা।
বাড়ির মালিক নির্মল হালদার বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কে বা কারা এসে বাড়ির মূল ভবনের পিছনে আগুন দেয়। তখন বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। প্রতিবেশীদের চিৎকারে তারা ঘুম থেকে উঠে দেখেন বাড়িতে আগুন লেগেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে বাড়ির পিছনে রাখা বিচলী, কাঠের স্তুপ ও প্রচুর খড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ভোরের কাগজের বিনোদন বিভাগের প্রধান ও প্রশান্ত হালদারের বোন শ্রাবনী হালদার রাখী বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাদের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর সকালে তিনি ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। এই বাড়িতে তার বাবা-মা, চাচা-চাচী, বড় চাচার ছেলে-স্ত্রী ও তাদের সন্তানরা থাকেন। প্রতিবেশীরা সহযোগিতা না করলে অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হতো।
লেখক ও নাট্যশিল্পী প্রশান্ত কুমার হালদার বলেন, তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকাতে থাকেন। বাড়িতে মা-বাবা ও তার ছোট ভাই পরিবারসহ থাকেন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আগুনের ঘটনায় তিনি শনিবার বাড়িতে আসেন। এরপর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আগুনে বাড়ির মূল ভবনের পিছনে থাকা বিচলী, খড়ি ও আসবাবপত্র বানানোর জন্য রাখা কাঠ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুন গোয়াল ঘরেও ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি আরো বলেন, এর আগেও তাদের বাড়ির রান্নাঘরে মানুষের মল মাখিয়ে রেখে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়াও কয়েকবার দূর থেকে দোতলা ঘর লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করার ঘটনা ঘটেছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দেদারুল ইসলাম আজ বলেন, বিষয়টি জানার পর শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবে।
এ ব্যাপারে জানতে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর মোরশেদের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইমরান জাকারিয়া বলেন, আমরা খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। আইনগত সহযোগিতা করার জন্য মামলার করার কথা বলেছি। কিন্তু প্রশান্ত হালদার কাউকে সন্দেহ করছেন না বলে মামলা করতে চান না। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তৎপর আছে। ওই এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
সবুজদেশ/এসএএস