ঢাকা ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতে মসজিদ ও মাদ্রাসা ধ্বংস করলো মোদি প্রশাসন

 

ভারতে বিতর্কিত এক ওয়াকফ আইনের নামে যখন দেশটিতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের জমি হরপের মিশনে নেমেছে গুজরাটের কসাইখ্যাত নরেন্দ্র মোদির সরকার ঠিক তখনই এবার দেশটির উত্তরপ্রদেশের ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী এলাকায় উচ্ছেদ করা হচ্ছে মুসলমানদের মাদ্রাসা ও ধর্মীয় বিভিন্ন স্থাপনা।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি এর তথ্যমতে, উত্তর প্রদেশের রাজ্য সরকার নেপাল সীমান্তের ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত মুসলিমদের ২২৫টি মাদ্রাসা, ৩০টি মসজিদ, ২৫টি মাজার ও ছয়টি ঈদগাহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে যেগুলো ভাঙ্গার কাজ চালাচ্ছে প্রশাসন।

এই ঘটনায় রীতিমতো এখন নড়েচড়ে বসেছে ভারতীয় মুসলমানরা। শুরু হয়েছে রাজ্যটির বিভিন্ন স্থানে কঠোর আন্দোলন। যদিও রাজ্য সরকারের দাবি, সরকারি জমিতে তৈরি মাদ্রাসা ও ধর্মীয় স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে, যেগুলোর কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। রাজ্যাটির সাত জেলায় চালানো এই অভিযানের ফলে বহু মাদ্রাসায় পড়াশোনাও থমকে গেছে ইতিমধ্যে। এ যেনো ইসলাম বিদ্বেষের এক জ্বলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত গুজরাটের কসাই মোদির।

জানা যায়, উত্তর প্রদেশে প্রায় ১৬ হাজার ৫০০ স্বীকৃত মাদ্রাসা রয়েছে। এখানে প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। বর্তমানে মোদি সরকারের মূল টার্গেটে যেনো পরিণত হয়েছে মাদ্রাসা গুলো। সংখ্যালঘু মুসলমানদের এসব ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংশের মাধ্যমে ইসলাম ধ্বংশের যেনো নীল নকশা আঁকছে মোদি।

কাশ্মীর হামলাকে কেন্দ্র করে চলতি মাসেই পাকিস্তানের দিকে দায় চাপিয়ে পাকিস্তানী সাধারণ মুসলমানদের ওপর আর মাদ্রাসা মসজিদকে লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালায় কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী মোদি বাহিনী। ধ্বংশ করে ফেলে মুসলমানদের বেশ কিছু মাদ্রাসা ও মসজিদ। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের সাথে না পেরে এখন যেনো নিজ ভূখন্ডেই সংখ্যালঘু মুসলমানদের ধর্মীয় স্থাপনা ভেঙ্গে ইসলাম বিদ্বেষের প্রমাণ দিতে চাইছে বিজেপি সরকার।

সবুজদেশ/এসইউ

ভারতে মসজিদ ও মাদ্রাসা ধ্বংস করলো মোদি প্রশাসন

Update Time : ০৬:১১:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

 

ভারতে বিতর্কিত এক ওয়াকফ আইনের নামে যখন দেশটিতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের জমি হরপের মিশনে নেমেছে গুজরাটের কসাইখ্যাত নরেন্দ্র মোদির সরকার ঠিক তখনই এবার দেশটির উত্তরপ্রদেশের ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী এলাকায় উচ্ছেদ করা হচ্ছে মুসলমানদের মাদ্রাসা ও ধর্মীয় বিভিন্ন স্থাপনা।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি এর তথ্যমতে, উত্তর প্রদেশের রাজ্য সরকার নেপাল সীমান্তের ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত মুসলিমদের ২২৫টি মাদ্রাসা, ৩০টি মসজিদ, ২৫টি মাজার ও ছয়টি ঈদগাহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে যেগুলো ভাঙ্গার কাজ চালাচ্ছে প্রশাসন।

এই ঘটনায় রীতিমতো এখন নড়েচড়ে বসেছে ভারতীয় মুসলমানরা। শুরু হয়েছে রাজ্যটির বিভিন্ন স্থানে কঠোর আন্দোলন। যদিও রাজ্য সরকারের দাবি, সরকারি জমিতে তৈরি মাদ্রাসা ও ধর্মীয় স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে, যেগুলোর কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। রাজ্যাটির সাত জেলায় চালানো এই অভিযানের ফলে বহু মাদ্রাসায় পড়াশোনাও থমকে গেছে ইতিমধ্যে। এ যেনো ইসলাম বিদ্বেষের এক জ্বলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত গুজরাটের কসাই মোদির।

জানা যায়, উত্তর প্রদেশে প্রায় ১৬ হাজার ৫০০ স্বীকৃত মাদ্রাসা রয়েছে। এখানে প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। বর্তমানে মোদি সরকারের মূল টার্গেটে যেনো পরিণত হয়েছে মাদ্রাসা গুলো। সংখ্যালঘু মুসলমানদের এসব ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংশের মাধ্যমে ইসলাম ধ্বংশের যেনো নীল নকশা আঁকছে মোদি।

কাশ্মীর হামলাকে কেন্দ্র করে চলতি মাসেই পাকিস্তানের দিকে দায় চাপিয়ে পাকিস্তানী সাধারণ মুসলমানদের ওপর আর মাদ্রাসা মসজিদকে লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালায় কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী মোদি বাহিনী। ধ্বংশ করে ফেলে মুসলমানদের বেশ কিছু মাদ্রাসা ও মসজিদ। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের সাথে না পেরে এখন যেনো নিজ ভূখন্ডেই সংখ্যালঘু মুসলমানদের ধর্মীয় স্থাপনা ভেঙ্গে ইসলাম বিদ্বেষের প্রমাণ দিতে চাইছে বিজেপি সরকার।

সবুজদেশ/এসইউ