যশোরের প্রধান ডাকঘর থেকে নৈশ প্রহরী রবিউল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার ধুয়াইল গ্রামের আকবর আলীর ছেলে।
রোববার রাতে ডিউটি করতে তিনি ডাকঘরে আসেন। সকালে সহকর্মীরা দেখেন তার মরদেহ পড়ে আছে পেছনের একটি নির্মাণাধীন ঘরে। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
রবিউলের শ্যালক শামীম জানান, তার দুলাভাই মাগুরা থেকে মাস দুয়েক আগে বদলি হয়ে যশোরে আসেন। তার এক মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রী মাগুরায় থাকেন। কেন এমনটি হয়েছে তারা বুঝতে পারছেন না।
এ বিষয়ে ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল কার্যালয়ের সুপার মনিরুল আল নূর জানান, রবিউল তাদের নাইটগার্ড ছিলেন। রাতে তিনি নিয়মিত ডিউটি করতেন। পাশে নির্মাণাধীন একটি ভবন রয়েছে। সকালে ওই ভবনের নিচতলার একটি রুমে রবিউলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন সহকর্মীরা। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রুবেলের গলায় দড়ি পেঁচানো ছিল। দেখে মনে হচ্ছে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। ওই রশি চিকন হওয়ায় হয়তো ছিড়ে পড়ে গেছেন। এতে তার মাথাও ফেটে গেছে। এ কারণে এটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা নিয়ে ধ্রুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত জানান, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ খোঁজখবর নিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সবুজদেশ/এসইউ