ঢাকা ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনে বনরক্ষীদের অভিযানে হরিণ শিকারি আটক

 

সুন্দরবন থেকে হরিণের চামড়া ও মাথাসহ আটক দুই শিকারিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।এর আগে বন বিভাগের কোকিলমনি টহলফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদিক মাহমুদ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করেন।

মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে বাগেরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের সোপর্দ করলে বিচারক বিলাস মণ্ডল আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরি আসামিদের বাগেরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসামিরা হলেন- বাগেরহাটের মোংলার চাঁদপাই এলাকার সুলতান খানের ছেলে মামুন খান (৩৩) ও একই এলাকার শেখে আক্কাছ আলীর ছেলে আব্দুর রহিম (২১)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৬ মে) সকালে কোকিলমনি টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন অভয়ারণ্য এলাকায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে কাঁকড়া আহরণ করছিলেন মামুন ও রহিম নামে দুই ব্যক্তি। বনরক্ষীরা ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করে এবং ঘটনাস্থলে থাকা দুটি নৌকা তল্লাশি করে ৪০ কেজি কাঁকড়া, ২১টি চারু ও সোলার প্যানেল জব্দ করা হয়।এছাড়া ঘটনাস্থলের পাশে একটি গাছে ঝুলানো অবস্থায় রাখা একটি হরিণের চামড়া ও তিনটি শিং ওয়ালা হরিণের মাথা উদ্ধার করা হয়।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরি বলেন, হরিণের মাংসগুলো পচে গেছে। চামড়া ও মাথা জব্দ করেছি। আটক দুইজনের নামে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, হরিণ শিকারকে নিরুৎসাহিত করতে, আমরা বনজীবীদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছি। কোনো বনজীবী যদি এক কেজি হরিণ শিকারের ফাঁদ ধরিয়ে দিতে পারে তাহলে আমরা তাকে ২ হাজার টাকা প্রণোদনা দিচ্ছি।হরিণ শিকার বন্ধে বনবিভাগ টহল জোরদারের পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নিয়েছে আমরা।সুন্দরবন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় আমাদের এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান কর্মকর্তা।

সবুজদেশ/এসইউ

সুন্দরবনে বনরক্ষীদের অভিযানে হরিণ শিকারি আটক

Update Time : ০৭:০৭:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

 

সুন্দরবন থেকে হরিণের চামড়া ও মাথাসহ আটক দুই শিকারিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।এর আগে বন বিভাগের কোকিলমনি টহলফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদিক মাহমুদ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করেন।

মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে বাগেরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের সোপর্দ করলে বিচারক বিলাস মণ্ডল আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরি আসামিদের বাগেরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসামিরা হলেন- বাগেরহাটের মোংলার চাঁদপাই এলাকার সুলতান খানের ছেলে মামুন খান (৩৩) ও একই এলাকার শেখে আক্কাছ আলীর ছেলে আব্দুর রহিম (২১)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৬ মে) সকালে কোকিলমনি টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন অভয়ারণ্য এলাকায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে কাঁকড়া আহরণ করছিলেন মামুন ও রহিম নামে দুই ব্যক্তি। বনরক্ষীরা ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করে এবং ঘটনাস্থলে থাকা দুটি নৌকা তল্লাশি করে ৪০ কেজি কাঁকড়া, ২১টি চারু ও সোলার প্যানেল জব্দ করা হয়।এছাড়া ঘটনাস্থলের পাশে একটি গাছে ঝুলানো অবস্থায় রাখা একটি হরিণের চামড়া ও তিনটি শিং ওয়ালা হরিণের মাথা উদ্ধার করা হয়।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরি বলেন, হরিণের মাংসগুলো পচে গেছে। চামড়া ও মাথা জব্দ করেছি। আটক দুইজনের নামে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, হরিণ শিকারকে নিরুৎসাহিত করতে, আমরা বনজীবীদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছি। কোনো বনজীবী যদি এক কেজি হরিণ শিকারের ফাঁদ ধরিয়ে দিতে পারে তাহলে আমরা তাকে ২ হাজার টাকা প্রণোদনা দিচ্ছি।হরিণ শিকার বন্ধে বনবিভাগ টহল জোরদারের পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নিয়েছে আমরা।সুন্দরবন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় আমাদের এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান কর্মকর্তা।

সবুজদেশ/এসইউ