ঢাকা ০৯:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে সেনা সদস্যের বাড়িতে ভাংচুর-লুটপাটের ঘটনায় মামলা

 

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নাকোবাড়িয়া এলাকায় সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে হাফিজুর রহমান নামে এক সেনা সদস্যের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার দিকে কালীগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাফিজুর রহমানের স্ত্রী আফরিনা ইয়াছমিন এ্যানী। ক্ষতিগ্রস্থ হাফিজুর রহমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত। তিনি বর্তমানে কুড়িগ্রামে কর্মরত আছেন।

মামলায় উপজেলার পারিয়াট গ্রামের মৃত জামাল মোল্লার ছেলে নজরুল ইসলাম মোল্লা, তার ছেলে জুয়েল, সড়াবাড়িয়া এলাকার মৃত নওশের আলীর ছেলে আলাউদ্দিন, বড় ডাউটি এলাকার ইউনুছ আলীর ছেলে আলিম কানা ও তার ভাই হালিমসহ ৫৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, আসামিরা কিছুদিন যাবৎ এলাকায় লুটপাট, চুরি-ডাকাতি করে আসছে। এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত আসামিরা ডাকাতির উদ্দেশ্যে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে তার বাড়ির দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। এ সময় তারা ঘরের ওয়ারড্রফের দরজা ভেঙে প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণ লুট ও ঘরের বিভিন্ন সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এতে তার প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাফিজুর রহমান সবুজদেশ নিউজকে বলেন, তিনি ২৯ বছর সেনাবাহিনীতে কর্মরত। আর চাকুরি আছে মাত্র ৫ মাস। এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এ সময় তার বাড়ি তালা লাগানো ছিল। সকালে ৩০/৪০ জন বোমার বিস্ফোরণ করে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় ঘর থেকে ৫ ভরি স্বর্ণ নিয়ে গেছে। এছাড়াও ঘরের সকল আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার সবুজদেশ নিউজকে বলেন, তিনি সেনা সদস্যের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তালাবদ্ধ ঘর ভেঙে ভাংচুর চালানো হয়েছে। ওই বাড়িতে কেউ থাকে না। একটি এজাহার দিয়েছেন সেনা সদস্যের স্ত্রী।

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :

কালীগঞ্জে সেনা সদস্যের বাড়িতে ভাংচুর-লুটপাটের ঘটনায় মামলা

Update Time : ০৬:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

 

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নাকোবাড়িয়া এলাকায় সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে হাফিজুর রহমান নামে এক সেনা সদস্যের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার দিকে কালীগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাফিজুর রহমানের স্ত্রী আফরিনা ইয়াছমিন এ্যানী। ক্ষতিগ্রস্থ হাফিজুর রহমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত। তিনি বর্তমানে কুড়িগ্রামে কর্মরত আছেন।

মামলায় উপজেলার পারিয়াট গ্রামের মৃত জামাল মোল্লার ছেলে নজরুল ইসলাম মোল্লা, তার ছেলে জুয়েল, সড়াবাড়িয়া এলাকার মৃত নওশের আলীর ছেলে আলাউদ্দিন, বড় ডাউটি এলাকার ইউনুছ আলীর ছেলে আলিম কানা ও তার ভাই হালিমসহ ৫৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, আসামিরা কিছুদিন যাবৎ এলাকায় লুটপাট, চুরি-ডাকাতি করে আসছে। এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত আসামিরা ডাকাতির উদ্দেশ্যে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে তার বাড়ির দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। এ সময় তারা ঘরের ওয়ারড্রফের দরজা ভেঙে প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণ লুট ও ঘরের বিভিন্ন সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এতে তার প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাফিজুর রহমান সবুজদেশ নিউজকে বলেন, তিনি ২৯ বছর সেনাবাহিনীতে কর্মরত। আর চাকুরি আছে মাত্র ৫ মাস। এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এ সময় তার বাড়ি তালা লাগানো ছিল। সকালে ৩০/৪০ জন বোমার বিস্ফোরণ করে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় ঘর থেকে ৫ ভরি স্বর্ণ নিয়ে গেছে। এছাড়াও ঘরের সকল আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার সবুজদেশ নিউজকে বলেন, তিনি সেনা সদস্যের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তালাবদ্ধ ঘর ভেঙে ভাংচুর চালানো হয়েছে। ওই বাড়িতে কেউ থাকে না। একটি এজাহার দিয়েছেন সেনা সদস্যের স্ত্রী।

সবুজদেশ/এসএএস