ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচে ঘরের মাঠে অভিষেক ছিল হামজা চৌধুরীর। সে ম্যাচে দলের জন্য উন্মাদনাটা খুব কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। এবার তার সামনে দাঁড়িয়ে আরও এক ‘অভিষেক’, সিঙ্গাপুর ম্যাচ দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ঘরের মাটিতে অভিষেক হবে তার। ভারতের মাটিতে ড্র করার অভিজ্ঞতা আছে, সেই টনিক নিয়ে এবার ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচে জিততে চাইছেন তিনি।
বাংলাদেশে এর আগে যতবার এসেছেন, গন্তব্য ছিল সিলেটেই। তবে এবার পরিস্থিতিটা ভিন্ন, এবার ঢাকায় আছেন শুরু থেকেই। অনুশীলনের ফাঁকে ফাঁকে ঢাকাকে দেখাটাও বেশ উপভোগ করছেন হামজা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আসলে বেশি বের হতে পারছি না, ট্রেনিং ক্যাম্প আছে, মিটিং আছে। ঈদের দিন, জুম্মাতেও গেছিলাম ফ্রাইডে-তে। ভালা হইছে, বাট আমি আসলে বেশি বাংলাদেশ দেখছি না।
ভুটানকে হারানোর পর হামজা ও বাংলাদেশের সামনে সিঙ্গাপুর পরীক্ষা। লেস্টার সিটির মিডফিল্ডার জানালেন, ভারতের বিপক্ষে মার্চের ওই ম্যাচে ড্র দলকে বাড়তি অনুপ্রেরণা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব কনফিডেন্স পাইছি ভারত ম্যাচ থেকে। আমরা জানি আমরার বড় চান্স আছে। আমরা দেশের মাটিতে খেলতেছি। আমার টিমের খুব ইমপ্রুভ হইছে, সো বড় অপরচুনিটি আছে আমাদের সাকসেসফুল হওয়ার।
ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে দেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেছিলেন হামজা চৌধুরী। সে ম্যাচেই বাংলাদেশের জার্সিতে নিজের প্রথম গোল করেছিলেন তিনি। তার পরিবারকে তিনি জানিয়েছেন, এটাই তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় দুই মুহূর্তের একটি।
তিনি বলেন, ‘খুব প্রাউড, আমি আমার বউ আর আমার ফ্যামিলিরে কইছি যে, হয়তো আমার ক্যারিয়ারের সেরা দুই মুহূর্ত; অত মানুষ আইয়া ফ্রেন্ডলি গেম দেখছে, আর ম্যাচের আগে যে আইয়া স্টেডিয়ামের বাইরে যে সাপোর্ট করছে। অত ভাল লাগছে, বড় প্রাউড মনে হয়তাছিলো আমার কাছে।
এরপর হামজা আবার ফিরলেন সিঙ্গাপুর প্রসঙ্গে। তিনি জানালেন দলকে জেতাতে আগ্রাসী ফুটবল খেলার বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের দলের দিকে মনোযোগ দিতে। সবাই দেখতে পারে যে আমরা খুব ইমপ্রুভ করতেছি। আমরা টিমে কনসেনট্রেট (মনোযোগ) করতাম, আর একবারে অ্যাগ্রিসিভ (আক্রমণাত্মক) খেলতাম আর ইনশাআল্লাহ ওটা করলে আমরা জিতমু।
সবুজদেশ/এসইউ