ঢাকা ০৭:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নড়াইলে অন্তঃসত্ত্বা নারীর আত্মহত্যা

 

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় সালমা বেগম (৩০) নামের এক নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ৫ মাসের আত্মসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা গেছে।

শনিবার (১৪ জুন) নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের ইতনা গ্রামে এই  ঘটনা ঘটে।

লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে টিকটক এর মাধ্যমে সালমা নামে ওই নারীর সাথে লোহাগড়া উপজেলার শাহাবুব শেখের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর কিছু দিনপর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সালমা বেগমের এর আগেও একটি বিবাহ ছিল। এদিকে শাহাবুব শেখের ও বউ ছেলে, মেয়ে রয়েছে। সালমাকে বিয়ের থেকে তাদের পরিবারের মধ্যে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার দিবাগত রাতে  সালমা বেগম নিজ ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তবে নিহত সালমার পরিবারের দাবি তার মেয়েকে  আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে তার স্বামী শাহাবুব শেখ এবং তার পরিবারের লোকজন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে ওই গৃহবধূর দেবর টিপু শেখ বলেন, তার ভাবি ৫ মাসের গর্ভবতী ছিলেন, এবং তার ভাইয়ের প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও তিনটি ছেলে মেয়ে রয়েছে। তার ভাই শাহাবুব শেখ জাহাজে চাকরি করেন। সে এখন ভারতে রয়েছেন। সামলা বেগমকে তারা কোনো প্রকার নির্যাতন করেনি বলে দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, শনিবার নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সবুজদেশ/এসইউ

নড়াইলে অন্তঃসত্ত্বা নারীর আত্মহত্যা

Update Time : ১০:১১:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

 

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় সালমা বেগম (৩০) নামের এক নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ৫ মাসের আত্মসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা গেছে।

শনিবার (১৪ জুন) নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের ইতনা গ্রামে এই  ঘটনা ঘটে।

লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে টিকটক এর মাধ্যমে সালমা নামে ওই নারীর সাথে লোহাগড়া উপজেলার শাহাবুব শেখের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর কিছু দিনপর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সালমা বেগমের এর আগেও একটি বিবাহ ছিল। এদিকে শাহাবুব শেখের ও বউ ছেলে, মেয়ে রয়েছে। সালমাকে বিয়ের থেকে তাদের পরিবারের মধ্যে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার দিবাগত রাতে  সালমা বেগম নিজ ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তবে নিহত সালমার পরিবারের দাবি তার মেয়েকে  আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে তার স্বামী শাহাবুব শেখ এবং তার পরিবারের লোকজন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে ওই গৃহবধূর দেবর টিপু শেখ বলেন, তার ভাবি ৫ মাসের গর্ভবতী ছিলেন, এবং তার ভাইয়ের প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও তিনটি ছেলে মেয়ে রয়েছে। তার ভাই শাহাবুব শেখ জাহাজে চাকরি করেন। সে এখন ভারতে রয়েছেন। সামলা বেগমকে তারা কোনো প্রকার নির্যাতন করেনি বলে দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, শনিবার নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সবুজদেশ/এসইউ