ঢাকা ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাদক কারবারির ছুরিকাঘাতের চেষ্টা, গণপিটুনিতে মৃত্যু

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৮:৩১:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • ৫৫ বার পড়া হয়েছে।

ফাইল ছবি-

 

যশোরের ঝিকরগাছায় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে আহত করার প্রতিরোধে এলাকাবাসির গণপিটুনিতে রফিকুল ইসলাম নামে এক মাদক কারবারির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের সোনাকুড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

রফিকুল ইসলাম (৫০) ওই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়দের দাবি, রফিকুল মাদক সেবন ও কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এছাড়া ইতোপূর্বে তিনি বিভিন্ন মানুষকে কারণে-অকারণে আহত করেছেন।

এলাকাবাসী জানায়, বুধবার সকালে সোনাকুড় গ্রামের আজগার আলীর জামাতা জহর আলী (৪০) শ্বশুর বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাঁকড়া বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে জহিরের চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছালে হঠাৎ প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম তার মাথায় দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে রফিকুল ইসলামকে দড়ি দিয়ে বেঁধে গণপিটুনি দেয়। একপর্যায়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

জহর আলীর স্ত্রী নাজমা খাতুন বলেন, আমাদের সঙ্গে প্রতিবেশী রফিকুলের ব্যক্তিগত অথবা পারিবারিক কোনো শত্রুতা ছিল না।  টাকা-পয়সারও কোনো লেনদেন নেই। কি কারণে আমার স্বামীকে কোপ দিয়েছে বুঝতে পারছি না।

তিনি জানান, কিছু দিন আগে মাদকসেবী রফিকুল সোনাকুড় গ্রামের হিন্দুপাড়ায় একজনের ঘাড়ে কোপ দেয়। তবে ঘাড়ে না লেগে তার একটি আঙুল কেটে যায়।

নিহত রফিকুল ইসলামের জামাতা বাপ্পারাজ বলেন, জহর আলীর সঙ্গে আমার শ্বশুর বাড়ির কোনো বিরোধ ছিল না। লোকমুখে শুনলাম, আমার শ্বশুর নাকি জহর আলীকে কোপ দিয়েছে। পরে গ্রামবাসী তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে পেটালে তিনি মারা যান। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।

বাঁকড়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সাহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে সোনাকুড় থেকে রফিকুল ইসলামের মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের পাশে দড়ি পাওয়া গেছে।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, নিহত রফিকুল ইসলাম মাদকাসক্ত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তিনি জহর আলী নামে এক ব্যক্তিকে দা দিয়ে আঘাত করায় উত্তেজিত জনতা তাকে পিটুনি দেয়। একপর্যায়ে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সবুজদেশ/এসইউ

জনপ্রিয়

কালীগঞ্জে প্রভাব খাটিয়ে সাব রেজিস্ট্রার অফিস নির্মাণ, উদ্বোধনে পরিবারের বাঁধা

মাদক কারবারির ছুরিকাঘাতের চেষ্টা, গণপিটুনিতে মৃত্যু

Update Time : ০৮:৩১:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

 

যশোরের ঝিকরগাছায় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে আহত করার প্রতিরোধে এলাকাবাসির গণপিটুনিতে রফিকুল ইসলাম নামে এক মাদক কারবারির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের সোনাকুড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

রফিকুল ইসলাম (৫০) ওই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়দের দাবি, রফিকুল মাদক সেবন ও কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এছাড়া ইতোপূর্বে তিনি বিভিন্ন মানুষকে কারণে-অকারণে আহত করেছেন।

এলাকাবাসী জানায়, বুধবার সকালে সোনাকুড় গ্রামের আজগার আলীর জামাতা জহর আলী (৪০) শ্বশুর বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাঁকড়া বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে জহিরের চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছালে হঠাৎ প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম তার মাথায় দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে রফিকুল ইসলামকে দড়ি দিয়ে বেঁধে গণপিটুনি দেয়। একপর্যায়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

জহর আলীর স্ত্রী নাজমা খাতুন বলেন, আমাদের সঙ্গে প্রতিবেশী রফিকুলের ব্যক্তিগত অথবা পারিবারিক কোনো শত্রুতা ছিল না।  টাকা-পয়সারও কোনো লেনদেন নেই। কি কারণে আমার স্বামীকে কোপ দিয়েছে বুঝতে পারছি না।

তিনি জানান, কিছু দিন আগে মাদকসেবী রফিকুল সোনাকুড় গ্রামের হিন্দুপাড়ায় একজনের ঘাড়ে কোপ দেয়। তবে ঘাড়ে না লেগে তার একটি আঙুল কেটে যায়।

নিহত রফিকুল ইসলামের জামাতা বাপ্পারাজ বলেন, জহর আলীর সঙ্গে আমার শ্বশুর বাড়ির কোনো বিরোধ ছিল না। লোকমুখে শুনলাম, আমার শ্বশুর নাকি জহর আলীকে কোপ দিয়েছে। পরে গ্রামবাসী তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে পেটালে তিনি মারা যান। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।

বাঁকড়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সাহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে সোনাকুড় থেকে রফিকুল ইসলামের মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের পাশে দড়ি পাওয়া গেছে।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, নিহত রফিকুল ইসলাম মাদকাসক্ত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তিনি জহর আলী নামে এক ব্যক্তিকে দা দিয়ে আঘাত করায় উত্তেজিত জনতা তাকে পিটুনি দেয়। একপর্যায়ে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সবুজদেশ/এসইউ