ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজি: গ্রেপ্তার ৪ জনের ৭ দিনের রিমান্ড

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৭:৫৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে।

 

আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত ৪ জনকে ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

রবিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান এ আদেশ দেন।

রিমান্ডে পাঠানো ৪ জন হলেন-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ।

গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন রিমান্ড আবেদন মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তবে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে রাজধানীর গুলশানে শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদা নিতে গেলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এরপর সংগঠন দুটি থেকে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৭ জুলাই গুলশান-২ এলাকায় শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে নিজেদের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। চাঁদা না দিলে শাম্মী আহমেদের স্বামীকে ‘আওয়ামী লীগের ও স্বৈরাচারের দোসর’ আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন তারা।

ভয়ে সেদিন ১০ লাখ টাকা দেন শাম্মীর স্বামী। এরপর ১৯ জুলাই তারা আবার গিয়ে বাকি ৪০ লাখ টাকা দাবি করেন এবং হুমকি দিয়ে চলে যান।

২৬ জুলাই রাত ৮টার দিকে চাঁদার বাকি টাকা আনতে গেলে, পুলিশের পূর্ব তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকেই রিয়াদসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কাজী গৌরব অপু পালিয়ে যায়।

ঘটনার পরদিন শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর গুলশান থানায় ৬ জনকে আসামি করে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন।

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :

‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজি: গ্রেপ্তার ৪ জনের ৭ দিনের রিমান্ড

Update Time : ০৭:৫৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

 

আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত ৪ জনকে ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

রবিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান এ আদেশ দেন।

রিমান্ডে পাঠানো ৪ জন হলেন-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ।

গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন রিমান্ড আবেদন মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তবে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে রাজধানীর গুলশানে শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদা নিতে গেলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এরপর সংগঠন দুটি থেকে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৭ জুলাই গুলশান-২ এলাকায় শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে নিজেদের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। চাঁদা না দিলে শাম্মী আহমেদের স্বামীকে ‘আওয়ামী লীগের ও স্বৈরাচারের দোসর’ আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন তারা।

ভয়ে সেদিন ১০ লাখ টাকা দেন শাম্মীর স্বামী। এরপর ১৯ জুলাই তারা আবার গিয়ে বাকি ৪০ লাখ টাকা দাবি করেন এবং হুমকি দিয়ে চলে যান।

২৬ জুলাই রাত ৮টার দিকে চাঁদার বাকি টাকা আনতে গেলে, পুলিশের পূর্ব তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকেই রিয়াদসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কাজী গৌরব অপু পালিয়ে যায়।

ঘটনার পরদিন শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর গুলশান থানায় ৬ জনকে আসামি করে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন।

সবুজদেশ/এসএএস