ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে নজরুল ইসলাম নজু (৫৫) নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী নিজের লাইসেন্স করা বন্দুকের গুলিতে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার ভোর রাতে পৌর এলাকার সলেমানপুর গ্রামের উত্তরপাড়ায় নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নজরুল ইসলাম নজু সলেমানপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম বিশ্বাসের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পৌর শহরে গার্মেন্টস ব্যবসা করে আসছিলেন।
নিহতের ছেলে ইয়াসিন আরাফাত ফাহিম বলেন, রাত আনুমানিক ১টার দিকে আব্বা দুইতলা থেকে নেমে নিচতলার একটি কক্ষে যান। যাওয়ার সময় দোতলার প্রধান গেটে সিটকিনি লাগিয়ে দেন তিনি। রাতে কোন এক সময় লাইসেন্সকৃত বন্দুকের নল মুখের ভিতর চালিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেন।
তিনি আরো বলেন, মৃত্যুর আগে আব্বার পরিচিত একজনকে ফোন দিয়ে বলেন, আমি মারা যাচ্ছি বন্দুকের গুলি লোড করে ফেলেছি বলে ফোন কেটে দেন। আমার ঘরে ফ্যান চলার কারণে আমি গুলির শব্দ শুনতে পাইনি। ভোর রাতে ঘর থেকে বের হতে গিয়ে দেখি ঘরের দরজায় ছিটকানি দেওয়া। পরে পাশের বাড়ির শাহিদা নামে এক ভাবির কাছে ফোন দিয়ে বাড়িতে আসতে বলি। আব্বা আগেই বাড়ি ঢোকার মেনগেট খুলে রেখেছিল। ভাবি এসে ছিটকানি খুলে দিলে নিচতলায় এসে দেখি আব্বার রুমের মেঝেতে মৃতদেহ পড়ে আছে রক্তাক্ত অবস্থায়। ব্যাংকে প্রায় দুই কোটি টাকা লোন আছে। সেটা কিছুদিন আগে খেলাপি হয়ে গিয়েছিল। যার কারণে দুশ্চিন্তায় ছিল সে থেকেই এমনটা হতে পারে।
সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কোটচাঁদপুর সার্কেল মুন্না বিশ্বাস।
কোটচাঁদপুর থানার ওসি কবির হোসেন মাতব্বর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তার পারিবারিক কলহ চলছিলো। পাশাপাশি ব্যাংকের ঋণও ছিল। প্রাথমিকভাবে আমরা আত্মহত্যা বলে ধারণা করছি। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
সবুজদেশ/এসএএস