আজ ১৮ সেপ্টেম্বর, বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে বাঁশ দিবস। প্রতিবছর এই দিনটি বাঁশের প্রয়োজনীয়তা, ব্যবহার ও শিল্পের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদযাপিত হয়।
বাঁশকে কেন্দ্র করে এই বছর উদযাপিত ১৯তম দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘নেক্সট জেনারেশন ব্যাম্বো: সলিউশন, ইনোভেশন অ্যান্ড ডিজাইন’।
সাধারণত সমাজে বাঁশকে নিয়ে নেতিবাচক ধারণা থাকলেও বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বাঁশ এবং বাঁশজাত পণ্য যেমন আসবাবপত্র, গৃহস্থালি সামগ্রী, খাদ্যদ্রব্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে। বাঁশ এখন কোটি টাকা উপার্জনের আকর্ষণীয় মাধ্যম।
বিশ্বব্যাপী বাঁশ শিল্পকে উন্নত করার লক্ষ্যে ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব বাঁশ সংস্থা। ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ব্যাংককে অষ্টম বিশ্ব বাঁশ কংগ্রেস চলাকালীন আনুষ্ঠানিকভাবে এই দিনটি বিশ্ব বাঁশ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পায়। কংগ্রেসে প্রায় ১০০টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেন এবং প্রস্তাবের পক্ষে সম্মত হন সংস্থার তৎকালীন সভাপতি কামেশ সালাম।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO)-এর গ্লোবাল ব্যাম্বু রিসোর্সেস প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি প্রজাতির বাঁশ পাওয়া যায় চীনে, যেখানে আছে ৫০০ প্রজাতি। দ্বিতীয় অবস্থানে ব্রাজিল (২৩২ প্রজাতি)। আর ৩৩ প্রজাতির বাঁশ নিয়ে বাংলাদেশ রয়েছে তালিকার অষ্টম স্থানে।
সবুজদেশ/এসএএস