ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মোজাহিদুল ইসলাম রুমি নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাতে ভিকটিম ওই নারী থানায় অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় সোমবার সকালে ভিকটিম ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত মোজাহিদুল ইসলাম রুমি শহরের কলাহাট এলাকার রুমি এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী। সে খয়েরতলা এলাকার বাসিন্দা।
ভিকটিম ওই নারী বলেন, সম্প্রতি তিনি শহরের কলাহাট এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য খোঁজ করতে যান। কলাহাট মোড়ে গিয়ে মোজাহিদুল ইসলাম রুমির সাথে পরিচিত হন। রুমি পশু হাসপাতাল পাড়ায় একটি বাসার খোঁজ দেন এবং বলেন বাসাটি তার বন্ধু ইকরামুলের। আপনি আপনার মোবাইল নম্বর রেখে যান পরে আপনাকে জানাবো।
তিনি আরো বলেন, এর দুইদিন পর রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) তিনি ফোন করে যেতে বলেন। সেখানে গেলে তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পিছনের একটি গুদামে বসতে বলেন। সেখানে বসলে রুমি কিছুক্ষণ পর এসে আমাকে একপর্যায়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এ সময় তিনি চিৎকার দিতে চাইলে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় রুমি। রুমি এসময় বলে রাজনীতি করি তোকে এখানে মেরে পুঁতে রাখলে কে বাঁচাতে আসবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী মোজাহিদুল ইসলাম রুমি ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, বিরোধী রাজনীতি করলে অনেক কিছুই রটানো হয়। আমি সত্যিই এ বিষয়ে কিছুই জানি না।
কালীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, রবিবার রাতে এক নারী থানায় এসে একটি ধর্ষণের অভিযোগ দিয়েছেন। সোমবার সকালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিম ওই নারীকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
সবুজদেশ/এসএএস