ঢাকা ০৩:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাগুরায় টিসিবির ৭৮ টন চাল উদ্ধার

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৮:৩৯:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে।

 

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর থেকে টিসিবির বরাদ্দকৃত ৭৮ টন চাল উদ্ধার করেছে প্রশাসন। জুলাই মাসে টিসিবি উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হলেও অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা হয়েছিল চাল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনুর আক্তারের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুস সোবহান, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মনজুর রহমানের উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালনা করে চাল জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় দায়ী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ঋতু ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ও ওএমএস ডিলার হোসেনিয়া কান্তী ঋতুর ডিলারশিপ বাতিল করা হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।

উল্লেখ্য, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মোট ১৫ হাজার ৫৬৭ জন স্মার্টকার্ডধারীর জন্য জুলাই মাসে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয় ৭৭ দশমিক ৮৩৫ মেট্রিক টন চাল। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৩ লাখ টাকা।কিন্তু বিতরণ না করে তা আত্মসাতের চেষ্টা করেন সংশ্লিষ্ট ডিলার। এ নিয়ে টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশের পর নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন।

এ ঘটনায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে ছিলেন- উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মজনুর রহমান, কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান এবং আইসিটি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম। তদন্ত শেষে মজুদকৃত চাল উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে। কমিটির সুপারিশে উদ্ধার হওয়া চাল মহম্মদপুর ও বিনোদপুর খাদ্য গুদামে জব্দ করে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারণ মানুষ। তাদের দাবি এই সিন্ডিকেট ভেঙে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :

মাগুরায় টিসিবির ৭৮ টন চাল উদ্ধার

Update Time : ০৮:৩৯:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর থেকে টিসিবির বরাদ্দকৃত ৭৮ টন চাল উদ্ধার করেছে প্রশাসন। জুলাই মাসে টিসিবি উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হলেও অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা হয়েছিল চাল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনুর আক্তারের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুস সোবহান, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মনজুর রহমানের উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালনা করে চাল জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় দায়ী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ঋতু ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ও ওএমএস ডিলার হোসেনিয়া কান্তী ঋতুর ডিলারশিপ বাতিল করা হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।

উল্লেখ্য, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মোট ১৫ হাজার ৫৬৭ জন স্মার্টকার্ডধারীর জন্য জুলাই মাসে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয় ৭৭ দশমিক ৮৩৫ মেট্রিক টন চাল। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৩ লাখ টাকা।কিন্তু বিতরণ না করে তা আত্মসাতের চেষ্টা করেন সংশ্লিষ্ট ডিলার। এ নিয়ে টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশের পর নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন।

এ ঘটনায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে ছিলেন- উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মজনুর রহমান, কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান এবং আইসিটি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম। তদন্ত শেষে মজুদকৃত চাল উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে। কমিটির সুপারিশে উদ্ধার হওয়া চাল মহম্মদপুর ও বিনোদপুর খাদ্য গুদামে জব্দ করে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারণ মানুষ। তাদের দাবি এই সিন্ডিকেট ভেঙে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

সবুজদেশ/এসএএস