ঢাকা ০৩:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতার ওপর হামলা, কার্যালয় ভাঙচুর

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৮:২৩:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে।

 

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিএনপি নেতার ওপর হামলা এবং তার দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের কালোয়া বাজারে তাকে মারপিট করা হয়। আহত বিএনপি নেতার ভাই দুলাল শেখ রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে আটজনের বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

আহত নেতার নাম রাশিদুল জাম্মান (৫৫)। তিনি কয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এবং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার হাত, মুখ, পিঠ এবং পায়ের মাংস পেশিতে আঘাতের ক্ষত রয়েছে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জিয়াউর রহমান বলেছেন, ‘‘এটি অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফল। আহত বিএনপি নেতার ভাই লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালোয়া বাজারে ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির কার্যালয় থাকলেও সম্প্রতি রাশিদুল জাম্মান আরেকটি কার্যালয় খোলায় নেতাকর্মীদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীরা তার কার্যালয়ে হামলা চালায়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাশিদুল জাম্মান বলেন, ‘‘কালোয়া বাজারে আমার দলীয় কার্যালয় রয়েছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রতিপক্ষের বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় কয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীরের ভাই সোহেল, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ওলি জোয়ার্দার, ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মিন্টু খন্দকার, আওয়ামী লীগ সমর্থক ইয়ারুলসহ ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা করে এবং কার্যালয় ভাঙচুর করে।’’

সুষ্ঠু বিচারের আশায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান।

হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে কয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ওলি জোয়ার্দার মোবাইল ফোনে বলেন, ‘‘বিএনপির দুই গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হামলা হয়েছে বলে শুনেছি। এর সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত নয়।’’

৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য বকুল হোসেনও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘অন্য এলাকা থেকে এসে রাশিদুল বাজারের শান্তি নষ্ট করছেন। কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি বরং রাশিদুল নিজেই তার কার্যালয়ের ছবি খুলে নিয়ে চলে গেছেন।’’

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :

কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতার ওপর হামলা, কার্যালয় ভাঙচুর

Update Time : ০৮:২৩:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিএনপি নেতার ওপর হামলা এবং তার দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের কালোয়া বাজারে তাকে মারপিট করা হয়। আহত বিএনপি নেতার ভাই দুলাল শেখ রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে আটজনের বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

আহত নেতার নাম রাশিদুল জাম্মান (৫৫)। তিনি কয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এবং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার হাত, মুখ, পিঠ এবং পায়ের মাংস পেশিতে আঘাতের ক্ষত রয়েছে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জিয়াউর রহমান বলেছেন, ‘‘এটি অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফল। আহত বিএনপি নেতার ভাই লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালোয়া বাজারে ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির কার্যালয় থাকলেও সম্প্রতি রাশিদুল জাম্মান আরেকটি কার্যালয় খোলায় নেতাকর্মীদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীরা তার কার্যালয়ে হামলা চালায়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাশিদুল জাম্মান বলেন, ‘‘কালোয়া বাজারে আমার দলীয় কার্যালয় রয়েছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রতিপক্ষের বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় কয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীরের ভাই সোহেল, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ওলি জোয়ার্দার, ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মিন্টু খন্দকার, আওয়ামী লীগ সমর্থক ইয়ারুলসহ ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা করে এবং কার্যালয় ভাঙচুর করে।’’

সুষ্ঠু বিচারের আশায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান।

হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে কয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ওলি জোয়ার্দার মোবাইল ফোনে বলেন, ‘‘বিএনপির দুই গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হামলা হয়েছে বলে শুনেছি। এর সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত নয়।’’

৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য বকুল হোসেনও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘অন্য এলাকা থেকে এসে রাশিদুল বাজারের শান্তি নষ্ট করছেন। কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি বরং রাশিদুল নিজেই তার কার্যালয়ের ছবি খুলে নিয়ে চলে গেছেন।’’

সবুজদেশ/এসএএস