ঢাকা ১০:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিআর নিয়ে জামায়াতকে একহাত নিলেন নাহিদ

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৫:২৮:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৩ বার পড়া হয়েছে।

 

নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলন পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির ( এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, তাদের এ আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল সংস্কার কমিশনের সংস্কার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করা এবং জনগণের উত্থানের পর জাতীয় সংলাপকে রাষ্ট্র ও সংবিধান পুনর্গঠনের মূল প্রশ্ন থেকে বিভ্রান্ত করা। রোববার বিকালে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

পোস্টে তিনি লেখেন, মূলত ভোটের প্রমাণভিত্তিক পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে একটি উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার দাবি একটি সাংবিধানিক নিরাপত্তা হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছিল। এর আশেপাশে একটি শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ছিল। তবে, জামায়াত ও তার সহযোগীরা এ এজেন্ডাকে জিম্মি করে এটিকে কেবল একটি কৌশলগত পিআর ইস্যুতে পরিণত করে। তারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এটিকে ব্যবহার করে। তাদের উদ্দেশ্য কখনো সংস্কার নয় বরং এটি ছিল কৌশলগত প্রভাব বিস্তার।

নাহিদ ইসলাম পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, জুলাই উত্থানের আগে অথবা পরে কখনোই সংস্কার সংলাপে অংশগ্রহণ করেনি জামায়াত। তারা কোনো মৌলিক প্রস্তাব, সাংবিধানিক দৃষ্টিভঙ্গি বা গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রতি কোনো অঙ্গীকার প্রদান করেনি। সংস্কার কমিশনের মধ্যে হঠাৎ তাদের সমর্থন ছিল বিশ্বাস বা দৃষ্টিভঙ্গির ফল নয়, বরং রাজনৈতিক ছদ্মবেশধারী হস্তক্ষেপ।

নাহিদ আরও উল্লেখ করেন, এখন বাংলাদেশের মানুষ স্পষ্টভাবে এ প্রতারণাকে বুঝতে পেরেছে। তারা সত্যের প্রতি জাগ্রত এবং আর কখনো ভ্রান্ত সংস্কারবাদী বা কৌশলগত রাজনৈতিক খেলোয়াড়দের দ্বারা প্রতারিত হবে না।

সর্বশক্তিমান আল্লাহ ও এই দেশের সার্বভৌম জনগণ আর কখনো অসৎ, সুযোগসন্ধানী ও নৈতিকভাবে দেউলিয়া শক্তিগুলোকে তাদের ওপর শাসন করতে দেবেন না।

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :
জনপ্রিয়

পিআর নিয়ে জামায়াতকে একহাত নিলেন নাহিদ

Update Time : ০৫:২৮:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

 

নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলন পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির ( এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, তাদের এ আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল সংস্কার কমিশনের সংস্কার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করা এবং জনগণের উত্থানের পর জাতীয় সংলাপকে রাষ্ট্র ও সংবিধান পুনর্গঠনের মূল প্রশ্ন থেকে বিভ্রান্ত করা। রোববার বিকালে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

পোস্টে তিনি লেখেন, মূলত ভোটের প্রমাণভিত্তিক পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে একটি উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার দাবি একটি সাংবিধানিক নিরাপত্তা হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছিল। এর আশেপাশে একটি শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ছিল। তবে, জামায়াত ও তার সহযোগীরা এ এজেন্ডাকে জিম্মি করে এটিকে কেবল একটি কৌশলগত পিআর ইস্যুতে পরিণত করে। তারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এটিকে ব্যবহার করে। তাদের উদ্দেশ্য কখনো সংস্কার নয় বরং এটি ছিল কৌশলগত প্রভাব বিস্তার।

নাহিদ ইসলাম পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, জুলাই উত্থানের আগে অথবা পরে কখনোই সংস্কার সংলাপে অংশগ্রহণ করেনি জামায়াত। তারা কোনো মৌলিক প্রস্তাব, সাংবিধানিক দৃষ্টিভঙ্গি বা গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রতি কোনো অঙ্গীকার প্রদান করেনি। সংস্কার কমিশনের মধ্যে হঠাৎ তাদের সমর্থন ছিল বিশ্বাস বা দৃষ্টিভঙ্গির ফল নয়, বরং রাজনৈতিক ছদ্মবেশধারী হস্তক্ষেপ।

নাহিদ আরও উল্লেখ করেন, এখন বাংলাদেশের মানুষ স্পষ্টভাবে এ প্রতারণাকে বুঝতে পেরেছে। তারা সত্যের প্রতি জাগ্রত এবং আর কখনো ভ্রান্ত সংস্কারবাদী বা কৌশলগত রাজনৈতিক খেলোয়াড়দের দ্বারা প্রতারিত হবে না।

সর্বশক্তিমান আল্লাহ ও এই দেশের সার্বভৌম জনগণ আর কখনো অসৎ, সুযোগসন্ধানী ও নৈতিকভাবে দেউলিয়া শক্তিগুলোকে তাদের ওপর শাসন করতে দেবেন না।

সবুজদেশ/এসএএস