খুলনা জেলা কারাগারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষের ঘটনায় তিন হাজতিকে ঢাকার কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে পুলিশ পাহারায় প্রিজনভ্যানে তাদের তিনজনকে পাঠানো হয়।
কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- কালা তুহিন, গ্রেনেড বাবুর ছোট ভাই রাব্বি এবং জিতু।
খুলনা জেলা কারাগারের জেলার মুনীর হুসাইন বলেন, শুক্রবার বিকেলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রেনেড বাবু ‘বি’ কোম্পানির সদস্য লাল ও সাকিবের সাথে অপর সন্ত্রাসী পলাশের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। হাতাহাতির একপর্যায়ে পলাশকে তারা মারধর করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কারাগারের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। চলে কিছুক্ষণ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় কারা কর্তৃপক্ষ। এ সময়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করার জন্য মৃদু লাঠিচার্জ করা হয়। পরবর্তীতে পাগলা ঘণ্টা বাজানো হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
তিনি বলেন, কারাগারের ভেতরে মারামারির ঘটনায় রাতে কারা হেড কোয়ার্টারে বিষয়টি অবগত করা হয়। এ ঘটনায় কয়েকজনের নামের তালিকা তৈরি করে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আসামিদের পাঠানোর কথা জানানো হলে প্রাথমিক পর্যায়ে সকালে কালা তুহিন, গ্রেনেড বাবুর ছোট ভাই রাব্বি এবং জিতুকে পুলিশ পাহারায় প্রিজন ভ্যানে করে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। নামের তালিকায় যারা আছে পরবর্তীতে তাদেরও ঢাকায় পাঠানো হবে।
জেলার মুনীর হুসাইন বলেন, শুক্রবারের ঘটনায় যারা কারাগারের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে তাদের বিরুদ্ধে এখনো আইনগত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। কারাবিধি অনুযায়ী যে সব ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান আছে আমরা সেগুলো নিব। কারাগারে হাই প্রোফাইলের তেমন কোনো আসামি নেই। কারাগারের নিরাপত্তার স্বার্থে এর আগে খুলনার অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী নুর আজিমকে ঢাকায় পাঠানো হয়। কারাগারে ১৪২৩ জন বন্দি আছে।
সবুজদেশ/এসএএস