ঝিনাইদহের শৈলকূপায় শশুরের বটির কোপে লিমা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। অভিযুক্ত শ্বশুরের নাম মুকুল শেখ (৪৫)। তবে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) ভোর পাঁচটার দিকে শৈলকূপা উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের পূর্বপাইকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লিমা খাতুন পূর্বপাইকপাড়া গ্রামের আব্দুর রবের স্ত্রী। তার দুটি সন্তান রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ভোরে গৃহবধূ লিমা খাতুন ঘর বেরিয়ে ঘরের পাশে টয়লেটে যায়। এসময় তার শ্বশুর ধারালো বটি দিয়ে তার বুকে কোপ দেয়। এরপর গৃহবধূ লিমা খাতুনের চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ঘর থেকে বেরিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে মারাত্মক জখম অবস্থায় শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত মুকুল শেখ দীর্ঘদিন যাবত মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ছিলেন। মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে মুকুল শেখ সুযোগ পেলেই বাড়ির লোকজনের ওপর হামলে পড়তেন। এজন্য দীর্ঘদিন তাকে নিজ বাড়িতে রশি দিয়ে বেঁধে রাখতেন পরিবারের লোকজন।
শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদ আল মামুন জানান, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জখম অবস্থায় গৃহবধূ লিমা খাতুনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার স্বজনরা। হাসপাতালে পৌছানোর আগেই ওই নারীর মৃত্যু হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত লিমার স্বামী আব্দুর রব জালান, তার বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন। এমনকি তার বড় চাচাও মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। দুই সন্তান রয়েছে আব্দুর রব-লিমা দম্পতির। স্ত্রীকে হারিয়ে তিনি বাকরুদ্ধ।
শৈলকূপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, লিমা খাতুনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত শ্বশুর মুকুল শেখকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে আমরা শুনেছি যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি নাকি মানসিক ভারসাম্যহীন। আমরা বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেব।
সবুজদেশ/এসএএস
নিজস্ব প্রতিবেদক: 


















