ঢাকা ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ফের ইসরাইলি হামলা, নিহত ৩৭

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ১২:০৯:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ১২৯ বার পড়া হয়েছে।

 

গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর নতুন হামলায় ১৬ শিশুসহ অন্তত ৩৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই হামলা হামাসের সঙ্গে কার্যকর যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে দাবি করা হচ্ছে।

গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবারের এই হামলায় মূলত আবাসিক ভবনগুলো লক্ষ্যবস্তু করা হয়।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে প্রেস টিভি।

এর আগে গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থা জানায়, প্রাথমিকভাবে নিহতের সংখ্যা ৩০ জন, তবে আহতের সংখ্যা কয়েক ডজন ছাড়িয়েছে।

সংস্থাটির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, আমাদের উদ্ধারকর্মীরা এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে নিহত ও আহতদের উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার গাজায় ‘তাৎক্ষণিক ও শক্তিশালী’ পাল্টা হামলার নির্দেশ দেন। তিনি দাবি করেন যে, রাফাহ অঞ্চলে হামাস ইসরাইলি সেনাদের টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে।

তবে হামাস এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করে বলেছে, ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করছে এবং চুক্তিটিকে ‘ব্যর্থ করার’ অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

এর আগে সংগঠনটি অভিযোগ করে বলেছিল, ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের বন্দিদের লাশ উদ্ধারে বাধা দিচ্ছে, যা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ ছিল। হামাস ইসরাইলের এই আচরণকে ‘ব্যবস্থাগত প্রতিবন্ধকতা’ বলে উল্লেখ করেছে।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি আরও বলেছে, গাজার রাফাহ ক্রসিং— যা এই অঞ্চলের প্রধান জীবনরেখা— এটি বন্ধ রাখা যুদ্ধবিরতির আরেকটি শর্ত ভঙ্গের স্পষ্ট উদাহরণ।

এদিকে সর্বশেষ হওয়া এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি চলতি মাসের শুরুর দিকে মিশরে সম্পাদিত হয়। যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচিত।

ট্রাম্প দাবি করেন, এই পরিকল্পনার লক্ষ্য গাজায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান ইসরাইলি গণহত্যা শেষ করা।

হামাস বারবার ঘোষণা দিয়েছে, তারা এই চুক্তির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ— যার আওতায় তারা ইসরাইলি বন্দি ও মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার এবং গাজার প্রশাসন একটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরাইলের ‘প্রতিক্রিয়ার অধিকার’ সমর্থন করে হামাসকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘যথাযথ আচরণ না করলে’ হামাসকে ‘সমাপ্তি’র মুখে পড়তে হবে।

এদিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স দাবি করে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি ‘অবিচল রয়েছে’। যদিও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে গাজায় ইসরাইলি হামলায় ব্যাপক প্রাণহানির খবর প্রকাশিত হচ্ছে।

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :
জনপ্রিয়

ডিসি এসপি ইউএনওদের পদায়ন নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ফের ইসরাইলি হামলা, নিহত ৩৭

Update Time : ১২:০৯:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

 

গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর নতুন হামলায় ১৬ শিশুসহ অন্তত ৩৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই হামলা হামাসের সঙ্গে কার্যকর যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে দাবি করা হচ্ছে।

গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবারের এই হামলায় মূলত আবাসিক ভবনগুলো লক্ষ্যবস্তু করা হয়।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে প্রেস টিভি।

এর আগে গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থা জানায়, প্রাথমিকভাবে নিহতের সংখ্যা ৩০ জন, তবে আহতের সংখ্যা কয়েক ডজন ছাড়িয়েছে।

সংস্থাটির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, আমাদের উদ্ধারকর্মীরা এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে নিহত ও আহতদের উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার গাজায় ‘তাৎক্ষণিক ও শক্তিশালী’ পাল্টা হামলার নির্দেশ দেন। তিনি দাবি করেন যে, রাফাহ অঞ্চলে হামাস ইসরাইলি সেনাদের টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে।

তবে হামাস এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করে বলেছে, ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করছে এবং চুক্তিটিকে ‘ব্যর্থ করার’ অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

এর আগে সংগঠনটি অভিযোগ করে বলেছিল, ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের বন্দিদের লাশ উদ্ধারে বাধা দিচ্ছে, যা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ ছিল। হামাস ইসরাইলের এই আচরণকে ‘ব্যবস্থাগত প্রতিবন্ধকতা’ বলে উল্লেখ করেছে।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি আরও বলেছে, গাজার রাফাহ ক্রসিং— যা এই অঞ্চলের প্রধান জীবনরেখা— এটি বন্ধ রাখা যুদ্ধবিরতির আরেকটি শর্ত ভঙ্গের স্পষ্ট উদাহরণ।

এদিকে সর্বশেষ হওয়া এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি চলতি মাসের শুরুর দিকে মিশরে সম্পাদিত হয়। যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচিত।

ট্রাম্প দাবি করেন, এই পরিকল্পনার লক্ষ্য গাজায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান ইসরাইলি গণহত্যা শেষ করা।

হামাস বারবার ঘোষণা দিয়েছে, তারা এই চুক্তির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ— যার আওতায় তারা ইসরাইলি বন্দি ও মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার এবং গাজার প্রশাসন একটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরাইলের ‘প্রতিক্রিয়ার অধিকার’ সমর্থন করে হামাসকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘যথাযথ আচরণ না করলে’ হামাসকে ‘সমাপ্তি’র মুখে পড়তে হবে।

এদিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স দাবি করে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি ‘অবিচল রয়েছে’। যদিও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে গাজায় ইসরাইলি হামলায় ব্যাপক প্রাণহানির খবর প্রকাশিত হচ্ছে।

সবুজদেশ/এসএএস