ঢাকা ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বন্ধ হচ্ছে অননুমোদিত মোবাইল ফোন

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৭:০৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে।

 

দেশে অবৈধভাবে আমদানিকৃত ও নিবন্ধনবিহীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার রোধে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর)। এরপর দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে কোনো অননুমোদিত মোবাইল আর ব্যবহার করা যাবে না।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) বোর্ডরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

তিনি বলেন, ‘এনইআইআর চালুর মাধ্যমে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হবে। এটি একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা, যেখানে প্রতিটি মোবাইল ফোনের আন্তর্জাতিকভাবে অনুমোদিত আইএমইআই নাম্বার ব্যবহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও ব্যবহৃত সিমের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।’

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, এই উদ্যোগের ফলে বৈধ ও অবৈধ ফোন সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে। অবৈধভাবে আমদানি করা বা নকল ফোনের ব্যবহার বন্ধ হবে, ফলে সরকার প্রতিবছর বিপুল রাজস্ব ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে। একই সঙ্গে দেশীয় মোবাইল উৎপাদন শিল্প সুরক্ষিত হবে।

তিনি বলেন, ‘এনইআইআর শুধু একটি প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নয়, এটি নাগরিকের নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও টেলিযোগাযোগ খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার একটি জাতীয় অঙ্গীকার।’

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে চুরি বা অপরাধে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দ্রুত শনাক্ত করে ব্লক করা যাবে, যা অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, এনইআইআর বাস্তবায়নে বিটিআরসির পাশাপাশি দেশের চার মোবাইল অপারেটর— গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, বাংলালিংক ও টেলিটক— নিজেদের ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (ইআইআর) সিস্টেম উন্নয়নে কাজ করছে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, এই উদ্যোগ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) জালিয়াতি, সিম প্রতারণা ও বিভিন্ন স্ক্যাম প্রতিরোধেও সহায়ক হবে। এতে ইকেওয়াইসি (eKYC) যাচাই আরও শক্তিশালী হবে, টেলিকম খাতের নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে এবং রাজস্ব আদায়ও বাড়বে।

গণমাধ্যমকর্মী ও অপারেটরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের টেলিকম খাত একটি নতুন, নিরাপদ ও স্বচ্ছ যুগে প্রবেশ করবে। সবাইকে অনুরোধ করছি, এই উদ্যোগ সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দিন এবং বৈধ হ্যান্ডসেট ব্যবহারে উৎসাহিত করুন।’

সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারীসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :
জনপ্রিয়

ডিসি এসপি ইউএনওদের পদায়ন নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

বন্ধ হচ্ছে অননুমোদিত মোবাইল ফোন

Update Time : ০৭:০৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

 

দেশে অবৈধভাবে আমদানিকৃত ও নিবন্ধনবিহীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার রোধে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর)। এরপর দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে কোনো অননুমোদিত মোবাইল আর ব্যবহার করা যাবে না।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) বোর্ডরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

তিনি বলেন, ‘এনইআইআর চালুর মাধ্যমে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হবে। এটি একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা, যেখানে প্রতিটি মোবাইল ফোনের আন্তর্জাতিকভাবে অনুমোদিত আইএমইআই নাম্বার ব্যবহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও ব্যবহৃত সিমের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।’

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, এই উদ্যোগের ফলে বৈধ ও অবৈধ ফোন সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে। অবৈধভাবে আমদানি করা বা নকল ফোনের ব্যবহার বন্ধ হবে, ফলে সরকার প্রতিবছর বিপুল রাজস্ব ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে। একই সঙ্গে দেশীয় মোবাইল উৎপাদন শিল্প সুরক্ষিত হবে।

তিনি বলেন, ‘এনইআইআর শুধু একটি প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নয়, এটি নাগরিকের নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও টেলিযোগাযোগ খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার একটি জাতীয় অঙ্গীকার।’

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে চুরি বা অপরাধে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দ্রুত শনাক্ত করে ব্লক করা যাবে, যা অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, এনইআইআর বাস্তবায়নে বিটিআরসির পাশাপাশি দেশের চার মোবাইল অপারেটর— গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, বাংলালিংক ও টেলিটক— নিজেদের ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (ইআইআর) সিস্টেম উন্নয়নে কাজ করছে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, এই উদ্যোগ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) জালিয়াতি, সিম প্রতারণা ও বিভিন্ন স্ক্যাম প্রতিরোধেও সহায়ক হবে। এতে ইকেওয়াইসি (eKYC) যাচাই আরও শক্তিশালী হবে, টেলিকম খাতের নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে এবং রাজস্ব আদায়ও বাড়বে।

গণমাধ্যমকর্মী ও অপারেটরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের টেলিকম খাত একটি নতুন, নিরাপদ ও স্বচ্ছ যুগে প্রবেশ করবে। সবাইকে অনুরোধ করছি, এই উদ্যোগ সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দিন এবং বৈধ হ্যান্ডসেট ব্যবহারে উৎসাহিত করুন।’

সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারীসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সবুজদেশ/এসএএস