ঢাকা ১০:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে যুবলীগের মিছিলের ব্যানার তৈরির সময় গ্রেপ্তার ২

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০১:৪৯:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে।

 

যুবলীগের নামে বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি হিসেবে ব্যানার বানানোর সময় যশোরে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের একজন ছাপাখানার মালিক। অপরজন যুবলীগের পলাতক নেতা ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানের কর্মচারী।

গতকাল বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের আই এন বি ডিজিটাল নামে একটি ছাপাখানা থেকে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- দেবু মল্লিক ও ছাপাখানার মালিক নাহিদ ইসলাম। এ সময় কয়েকটি ব্যানারও জব্দ করা হয়। দেবু মল্লিক আনোয়ার হোসেন বিপুলের কর্মচারী হিসেবে তার ব্যবসায় দেখাশোনা করেন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি কাজী বাবুল।

এসময় থানা পুলিশের সাথে ডিবি ও সাইবার ক্রাইম ইউনিটের একাধিক টিমও অভিযানে অংশ নিয়েছিল। জব্দ ব্যানারগুলোতে লেখা ছিল- ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার কর, ‘অবৈধ আইসিটি আইন বন্ধ কর।’ এর আয়োজক হিসেবে ব্যানারে লেখা রয়েছে আনোয়ার হোসেন বিপুলের নাম। তিনি যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা।

শেখ হাসিনার পতনের পর তিনি পলাতক রয়েছেন। যশোর-৩ আসনের সাবেক এমপি কাজী নাবিল আহমেদের ঘনিষ্ট হিসেবে আনোয়ার হোসেন বিপুল যশোরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন বলে অভিযোগ আছে। শহরের প্রতিটি এলাকায় টিনএজদের দিয়ে তিনি তৈরি করেছিলেন কিশোর গ্যাং। তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন মাদক ও অস্ত্র। যার খেসারত এখনও দিচ্ছেন শহরবাসী।

পুলিশের দাবি, বিক্ষোভের নামে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়েই এসব ব্যানার তৈরি করা হচ্ছিল। বর্তমানে আওয়ামী লীগ ও তাদের লোকজন আত্মগোপনে থেকে পরিচিতদেরকে দিয়ে এসব অপকর্ম সংঘটিত করছে। তবে এ ব্যাপারে কঠোর নজরদারি রয়েছে।

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :
জনপ্রিয়

যশোরে যুবলীগের মিছিলের ব্যানার তৈরির সময় গ্রেপ্তার ২

Update Time : ০১:৪৯:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

 

যুবলীগের নামে বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি হিসেবে ব্যানার বানানোর সময় যশোরে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের একজন ছাপাখানার মালিক। অপরজন যুবলীগের পলাতক নেতা ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানের কর্মচারী।

গতকাল বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের আই এন বি ডিজিটাল নামে একটি ছাপাখানা থেকে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- দেবু মল্লিক ও ছাপাখানার মালিক নাহিদ ইসলাম। এ সময় কয়েকটি ব্যানারও জব্দ করা হয়। দেবু মল্লিক আনোয়ার হোসেন বিপুলের কর্মচারী হিসেবে তার ব্যবসায় দেখাশোনা করেন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি কাজী বাবুল।

এসময় থানা পুলিশের সাথে ডিবি ও সাইবার ক্রাইম ইউনিটের একাধিক টিমও অভিযানে অংশ নিয়েছিল। জব্দ ব্যানারগুলোতে লেখা ছিল- ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার কর, ‘অবৈধ আইসিটি আইন বন্ধ কর।’ এর আয়োজক হিসেবে ব্যানারে লেখা রয়েছে আনোয়ার হোসেন বিপুলের নাম। তিনি যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা।

শেখ হাসিনার পতনের পর তিনি পলাতক রয়েছেন। যশোর-৩ আসনের সাবেক এমপি কাজী নাবিল আহমেদের ঘনিষ্ট হিসেবে আনোয়ার হোসেন বিপুল যশোরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন বলে অভিযোগ আছে। শহরের প্রতিটি এলাকায় টিনএজদের দিয়ে তিনি তৈরি করেছিলেন কিশোর গ্যাং। তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন মাদক ও অস্ত্র। যার খেসারত এখনও দিচ্ছেন শহরবাসী।

পুলিশের দাবি, বিক্ষোভের নামে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়েই এসব ব্যানার তৈরি করা হচ্ছিল। বর্তমানে আওয়ামী লীগ ও তাদের লোকজন আত্মগোপনে থেকে পরিচিতদেরকে দিয়ে এসব অপকর্ম সংঘটিত করছে। তবে এ ব্যাপারে কঠোর নজরদারি রয়েছে।

সবুজদেশ/এসএএস