তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওই নির্দেশনা উপেক্ষা করে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন বলেছেন, তিনি ভোটের মাঠ ছাড়বেন না।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব এবিএম রুহল আমিন হাওলাদার বলেন, বরিশালের উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ‘বিপুল ভোটে বিজয়ী করার প্রয়োজন আছে’ বলে তারা মনে করছেন।
“বরিশাল সিটি করপোরেশনের অন্তর্গত জাতীয় পার্টির সকল নেতাকর্মী সমর্থকদের আওয়ামী লীগ প্রার্থী- সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছি।”
বরিশালে মেয়র পদে নৌকার প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছেলে।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে ভোটে দাঁড়ানো ইকবাল হোসেন দলে গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদে নেই। দীর্ঘদিন জাপানে থাকার পর ফিরে এসে তিনি গার্মেন্ট, রিয়েল এস্টেট ও ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। এবারই প্রথম তিনি কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।বরিশালে জাতীয় পার্টির অবস্থান ততটা জোরালো নয়। তারপরও শরিক দল জাতীয় পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আসায় বরিশালের ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগে অস্বস্তি ছিল। ফলে ইকবালকে থামানোর জন্য জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকেই চেষ্টা শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে তাকে সরে দাঁড়াতে বলার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বরিশাল প্রতিনিধিকে ইকবাল বলেন, শেষ মুহূর্তে এসে তিনি নির্বাচন থেকে কোনোভাবেই সরে দাঁড়াবেন না।
“জনগণকে আশা দেখিয়ে আমি শেষ মুহূর্তে এভাবে সরে যেতে পারি না। আমি নির্বাচনের মাঠে থাকব। বরিশালের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত তো ঢাকায় বসে হতে পারে না।”
এর আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের চেয়ারম্যানের প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভ রায় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ইকবাল সরে না দাঁড়ালে দল থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে মেয়র পদে ইকবালের মনোনয়নের বিরোধিতা করে আসা বরিশাল সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি বশির আহমেদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের প্রচার চালিয়ে আসছিলেন।
দলের কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার নির্দেশনা আসার পর এখন তিনি সে অনুযায়ী কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।